সিরিয়ার জনগণের সম্পদ তেল চুরি করে মার্কিন সেনারা অন্য কোথাও পাচার করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভবত ইহুদিবাদী ইসরাইলেই তা পাঠানো হচ্ছে।
ইরানের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমেরিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষক, লেখক এবং সৌদি আরবে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত জে. মাইকেল স্প্রিং ম্যান এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, সিরিয়ার তেল এবং অন্য প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট করার জন্য আমেরিকা ইরাক থেকে শত শত সেনা এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র সিরিয়ায় নিয়ে গেছে। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাসাকা এবং দেইর আজ-জাওয়ার প্রদেশের এসব সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, ইরাক থেকে ২০০ সেনাকে আকাশপথে সিরিয়ার আশ-শাদ্দাদি শহরে নেওয়া হয়েছে। হাসাকা প্রদেশের রাজধানী থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে আশ-শাদ্দাদি শহরের অবস্থান।
তেল চুরি করা প্রসঙ্গে স্প্রিংম্যান বলেন, ইরাকে সেনা মোতায়েন রেখে দেশটিতে দখলদারিত্ব কায়েম করে রেখেছে আমেরিকা এবং সিরিয়াতেও তারা একইভাবে দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চাই যাতে সেখানকার তেল চুরি করা যায় এবং সেই তেল অন্য কোথাও পাচার করা যায়।
তবে আমেরিকায় এই তেল মূলত বর্ণবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলে পাচার করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাইকেল স্প্রিংম্যান আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি ও জাপান দখল করে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র।