যুদ্ধবিরতির পর গাজা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি তার পরিকল্পনার কথা জানান।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এরদোয়ান বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে তুরস্ক সেখানে হাসপাতাল, স্কুল এববং অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পুনঃনির্মাণ করবেন।
জার্মানির রাজধানী বার্লিন সফর থেকে ফেরার সময় বিমানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলের হামলায় যা কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তার সব নেবে তুরস্ক। তবে এজন্য গাজায় যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। যুদ্ধিবিরতি হলে এসব করবেন তারা।
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, আমরা গাজার ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পুনঃনির্মাণে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল, হাসপাতাল, পানি ও জ্বালানি সুবিধা সংবলিত স্থাপনাকে পুনরায় গড়ে তোলা হবে।
এর আগে বার্লিনে পা রেখে জার্মান চ্যান্সেলরকে তুলাধুনা করলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বলেন, হাসপাতালে ঢুকে গুলি করা অথবা শিশুদের হত্যা করার নজির সভ্য সমাজে নেই। এ জন্য এই অঞ্চলে ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করা উচিত নয়। বলেন, তিনি সব ধর্মকেই সমানভাবে দেখেন।
জার্মানিতে ইহুদি বিদ্বেষ অবৈধ। কারণ এ দেশটিতেই ইহুদিরা গণহত্যার শিকার হন। এরদোয়ান মনে করেন, এ জন্যই জার্মানি স্বাধীনভাবে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে পারছে না। জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎজের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, জার্মানি ইসরায়েলের কাছে দায়বদ্ধ। কারণ তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রতি তুরস্কের কোনো দায় নেই। এ কারণে তারা প্রকাশ্যে যা খুশি তাই বলতে পারেন।
শুক্রবার বার্লিনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গাজায় ইসরায়েলে যুদ্ধ নিয়ে সমালোচনা করায় এরদোয়ান জার্মানিতে পৌঁছানোর পর তোপের মুখে পড়েন।