২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সৈন্যরা। ওই সময় রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে লাইন ধরেন ইউক্রেনীয়রা। তবে সময় গড়াতে গড়াতে পেরিয়ে গেছে দুই বছরের বেশি সময়। সঙ্গে বদলে গেছে পরিস্থিতিও।
যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়া ইউক্রেনীয়রা এখন আর যুদ্ধ চায় না। কিন্তু ইউক্রেনের সরকার রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়। এ কারণে এখন শারীরিকভাবে সুস্থ পুরুষদের যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যখনই তরুণ কাউকে পাচ্ছেন তখন তাদের ধরে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
আর এ কারণে রাস্তাঘাটে তরুণরা বেশি বের হচ্ছেন না। বা বের হলেও সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখলে দ্রুত তারা সরে পড়ছেন। এজন্য টেলিগ্রাম ব্যবহার করছেন। কেউ কোনো সেনা সদস্যকে দেখলে বাকিদের সতর্ক করে দিচ্ছেন। শনিবার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। পুরুষরা যুদ্ধে যোগ দিতে না চাওয়ায় ইউক্রেন এখন সেনা সংকটে পড়েছে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে অ্যান্টন নামের এক যুবকের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে। অ্যান্টন জানিয়েছেন, তিনি খারকিভে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতেন। ১০ দিন আগে তাকে সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য আটকান। এরপর তার কাছ থেকে পরিচয় জেনে জানান, তাকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে এবং তিনদিনের মধ্যে শারীরিক পরীক্ষা করতে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। আর নয়ত তাকে অর্থ জরিমানা দিতে হবে। বর্তমানে অ্যান্টন শহর থেকে পালিয়ে এসে গ্রামে অবস্থান করছেন।