বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) ও খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েতক বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার ঢাকা শ্যামলীর বাসার নিচ থেকে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে। এঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, হামলা-মামলা করে গণতন্ত্রমুক্তিকামী যোদ্ধাদের দমিয়ে রাখা যায়নি, যাবে না। এটা বুঝতে পেরে নিশিরাতের অবৈধ সরকার ক্ষমতার মসনদে ঠিকে থাকতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাষ্ট্রের স্বাধীন আদালতকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। মাফিয়া সরকারের তাতেও শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ পেলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের নেতৃত্বে খুলনা থেকেই লুটেরা সরকারের পতনে চুড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
খুলনা জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত একেরপর এক স্যাংশনের মধ্যেই আওয়ামী সরকার ন্যাক্করজনকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-নিপীড়নে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই যুবদল নেতা এবাদুল হক রুবায়েদকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদাপোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ। সরকার যে বিচার বহির্ভূত কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে এটি তারই সর্বশেষ প্রমাণ। এখনো সম্মানজকভাবে বিদায়ের পথ খোলা রয়েছে, অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন দিন; অন্যত্থায় জনগন শেখ হাসিনা সরকারকে ঠেনে হিচড়ে নামিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী ও যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।
অনুরুপ বিবৃতিতে অবিলম্বে যুবদল নেতা এবাদুল হক রুবায়েতের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানিয়েছেন খুলনা জেলা যুবদলের সভাপতি এসএম শামীম কবিরসহ নেতৃবৃন্দ।