আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ ইকবাল বিথার হত্যা মামলার স্টে অর্ডার প্রত্যাহারের দায়িত্ব নিয়েছে খুলনা নগর আওয়ামী লীগ। বিষয়টি দেখভাল করার জন্য নগর আওয়ামী লীগের দু’জন দায়িত্বশীলকে নিয়োজিত করা হয়েছে। এ হত্যা মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে আট বছরেরও বেশি সময় স্টে অর্ডারের কারণে নিম্ন আদালতে বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ২০০৯ সালের ১১ জুলাই রাতে নগরীর মুসলমান পাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে তিনি নিহত হন।
শহীদ ইকবাল বিথারের ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১১ জুলাই দলীয় কার্যালয়ে এক স্মরণ সভা শেষে এক বৈঠকে মামলা পুনজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় নগর পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নগর কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মজিবর রহমান ও সদর থানা শাখার সভাপতি এডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলামকে এই মামলা দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত খন্দকার মুজিবর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তাকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হবে। এ মামলা স্টে থাকাই দলের অভ্যন্তরে নানা সময় নানা গুঞ্জন ওঠে।
খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সে সময় প্রধান আসামি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মামলা থেকে মিজানের নাম প্রত্যাহার করা হয়। এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হচ্ছেন নগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সরদার আনিসুর রহমান পপলু, একরাম হোসেন, জীবন ওরফে সবে কাদির, লিয়াকত আলী শিকদার, মাসুদ রানা ও মনিরুজ্জামান মাসুদ।
নিহত বিথার খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তার নিকট আত্মীয় এস এম রফিউর রহমান আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ না করে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।