সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন উঠতি অভিনেত্রী আশা চৌধুরী। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাইকচালক শামীম আহমেদকে। অভিযুক্ত বাইকচালক এখন কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। আড়াই ঘণ্টার হিসাব ঠিকমত দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। কিন্তু অভিনেত্রী আশার পরিবার এখন শামীমের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাইছে।
আশার মা পারভিন আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার পর শামীম তিন রকম কথা বলায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা আবারও শামীমের সঙ্গে দেখা করেন। সে সময় শামীম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। দীর্ঘ ৬-৭ বছরের পরিচিত শামীমকে তারা আগে থেকেই স্নেহ করতেন। এর আগেও সে বাইক চালিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশাকে পৌঁছে দিত।
পারভিন আক্তার বলেন, শামীমকে আমরা বিশ্বাস করি। তাই তার নাম মামলা থেকে তুলে নিতে চাই। শামীমের নাম কীভাবে মামলা থেকে উঠিয়ে নেওয়া যায়, সে জন্য আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন তদন্তের স্বার্থে আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশ যা চায়, সেটাই হবে। এখানে মূল দোষ ট্রাকচালকের। ভিডিওতে দেখেছি, সে-ই ইচ্ছাকৃত বাইকে ধাক্কা দিয়ে আমার মেয়েকে পিষ্ট করেছে।
ট্রাকটি আটক করতে না পারায় তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত প্রায় দুইটার দিকে অভিনেত্রী আশা চৌধুরী মারা যান। তিনি রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজিতে (বিইউবিটি) আইন বিভাগে সপ্তম সেমিস্টারে পড়াশোনা করতেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিশুশিল্পী ছিলেন। একক নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন তিনি। টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিক নাটকেও তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
সর্বশেষ তিনি রুমান রুনি পরিচালিত ‘দ্য রিভেঞ্জ’ নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন।
##আশা চৌধুরীর মোটরবাইক চালক শামীমকে ঘিরে রহস্য, মামলা