বটিয়াঘাটায় রাজবাধ এলাকায় প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে আয়া পদে চাকুরী পাইয়ে দিতে প্রার্থীকে কু-প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে ভুমি ব্যবসায়ী সুরঞ্জন সুতারকে(৪২) গ্রেফতার করেছে হরিনটানা থানা পুলিশ। সুরঞ্জন নিছখামার এলাকার নারায়নের ছেলে। সোমবার রাত পোনে ৯টার দিকে কৈয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, বটিয়াঘাটা উপজেলার রাজবাঁধ এলাকায় প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে আয়া পদে নিয়োগের জন্য স্কুল উন্নয়নের নামে প্রার্থী প্রেমা রায়ের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সুরঞ্জন সুতার। প্রেমার পরিবার ব্যাংক ডিপিএস ভেঙ্গে এবং ৬টি গরু বিক্রি করে গত ৫ এপ্রিল সুরঞ্জনকে ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। সুরঞ্জন সুতার ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
এ নিয়োগ বানিজ্যে জলমা ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম ও ঘোলা গ্রামের পলাশ বিশ্বাস জড়িত রয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। তারা প্রেমাকে চাকুরী দেয়ার লোভ দেখিয়ে অবৈধভাবে যৌন কামনা চারিতার্থ করার জন্য অশ্লিল কথাবর্তা এবং কু-প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে প্রেমার কোন সাড়া না পেয়ে গত ৮ এপ্রিল তারিখে প্রেমাকে বাদ রেখে নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম শেষ করে। এরপর সুরঞ্জন সুতারের কাছে টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন তালবাহানা দেখায় বলে প্রেমা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ জানান, সুরঞ্জন সুতারসহ মেম্বর তরিকুল ইসলাম ও পলাশ বিশ্বাসের নামে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে যৌন কামনা চারিতার্থ করার জন্য অশ্লিল কথাবার্তা এবং কু-প্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামী সুরঞ্জন সুতারকে সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কৈয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া সুরঞ্জন সুতার’র বিরুদ্ধে রাঁজবাধ এলাকায় সরকারি খাল দখল করে প্লট আকারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে । এছাড়া সুরঞ্জন সুতার’র বিরুদ্ধে মামলা, নারী নির্যাতন, জাল-জালিয়াতি ও অপহরণের অভিযোগ রয়েছে । এলাকাবাসীর গণদাবিতে জানা গেছে, দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মৃণালের সেকেন্ড ইন কমান্ড সুরঞ্জন সুতার মৃর্ণালের মৃত্যুর পর তার নিকট রেখে যাওয়া কোটি কোটি টাকা দিয়ে ভূমি ব্যবসা ও মৃর্নালের ওই শারদীয় দুর্গাপূজা চালিয়ে যাচ্ছে । নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আইওয়াশ হিসেবে দান করছে ।