প্লে-অফে নিজেদের ম্যাচের দিন তিন বিদেশি ক্রিকেটারকে উড়িয়ে এনেছিল রংপুর রাইডার্স। আন্দ্রে রাসেল-টিম ডেভিডদের নিয়ে প্লে-অফ বাধা টপকানোর চেষ্টা ছিল তাদের। তবে শেষপর্যন্ত এ পদক্ষেপ কাজে আসেনি। এলিমিনেটরে তাদের এককথায় ধসিয়ে দিয়েছে খুলনা টাইগার্স। বোলিংয়ে মিরাজ-নাসুমের ঘূর্ণি আর মোহাম্মদ নাঈমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে তারা। এতে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়েছে মিরাজের দল।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ব্যাটিং অর্ডারে যুক্ত হওয়া তিন বিদেশি জেমস ভিন্স, আন্দ্রে রাসেল এবং টিম ডেভিডদের ব্যাটে পাহাড়সম সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল দলটি। অথচ এই তিন ক্রিকেটার মিলে সাকুল্যে করতে পেরেছেন ১২ রান। দেশি সাইফ হাসান-সৌম্য সরকাররাও নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছেন।
রংপুরের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল অধিনায়ক সোহান (২৭) এবং পাকিস্তানি বোলার আকিফ জাভেদ। ৫২ রানে ৯ উইকেট হারানো দলকে ৮৫ পর্যন্ত একাই টেনে নিয়েছেন আকিফ, আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় করেছেন ৩২ রান।
খুলনার দুই স্পিনার মিরাজ এবং নাসুম আহমেদ নিজেদের ঘূর্ণিজালে আটকেছেন রংপুরের ব্যাটারদের। দুজনই পেয়েছেন সমান তিনটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই মিরাজের উইকেট হারায় খুলনা। বল হাতে উজ্জ্বল থাকলেও ব্যাটিংয়ে রানের খাতাই খুলতে পারেননি খুলনা অধিনায়ক। তবে মিরাজ ফিরলেও ৮৬ রান তাড়ায় খুলনা পা হড়কায়নি নাঈম-অ্যালেক্স রসের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১০.২ ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে খুলনা।
৩৩ বলে ৩ চার এবং ৪ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন নাঈম। ২৯ রান আসে অ্যালেক্সের ব্যাটে।
উল্লেখ্য, প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে হেরে যাওয়া দলের সঙ্গে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফাইনালের টিকিট পেতে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে মাঠে নামবে খুলনা।