ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দু-একটি বাস সকালে রংপুরে পৌঁছালেও রংপুর থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের পাশাপাশি আন্তঃজেলা পরিবহনের বাসও বন্ধ রয়েছে। রংপুর থেকে কোনো বাস ছাড়ছে না। অন্য জেলা থেকে বাস আসছেও না।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় যাত্রীদের এমন দুর্ভোগ। সব বাস কাউন্টার বন্ধ।
এর আগে মহাসড়কে নছিমন করিমনসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবি ও রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদে রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মটর মালিক সমিতি।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ছয়টা থেকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জামালপুরের মেলান্দহ এলাকার ব্যবসায়ী সাব্বির হোসেন ও শাহরিয়ার সাইদ। ঢাকা থেকে আজ ভোরে এসেছেন রংপুরে। কথা ছিল ব্যবসার কাজ শেষে আজই ফিরে যাবেন। ফিরতি টিকিট কাটতে সকাল নয়টার দিকে রংপুর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টারে গিয়ে জানতে পারেন, বাস বন্ধ।
রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পঙ্কজ কুমার রায়। শনিবার তার ল্যাব ফাইনাল পরীক্ষা। বাস বন্ধ শুনে বিপাকে পড়েছেন তিনিও।
পঙ্কজ-সাব্বিরদের মতই রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ থেকে মেয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন সুদীর চন্দ্র বর্মন। বাস বন্ধের খবর শুনে বাধ্য হচ্ছেন ফিরে যেতে।
অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে সাব্বির বলেন, বাস বন্ধ জানলে আসতাম না। এখন এসে বিপদে পড়লাম।
শিক্ষার্থী পঙ্কজ বলেন, পরীক্ষা দিতে না পারলে অনেক সমস্যায় পড়বো। যেভাবেই হোক ঢাকা পৌঁছাতে হবে।
শ্যামলী পরিবহনের সহকারী (হেল্পার) পরিচয়ে মোমিন মিয়া নামে একজন বলেন, বাস বন্ধ থাকায় এখানে থাকা খাওয়ার যে খরচ তা পাবো না। গাড়ি না চললে টাকাও নেই।
এদিকে বিএনপির ২৯ অক্টোবর গণসমাবেশ ঘিরে মটর মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাবি করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
তারও আগে ১৫ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বাস বন্ধ করা হয়েছিল একইভাবে।