চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হতে প্রায় এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও এরই মধ্যে বাজারগুলোতে নিত্যপন্যের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে চিড়া, মুড়ি এবং খেঁজুর অন্যতম। এ ছাড়া চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়তির দিকে।
১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে চিড়ার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। মুড়ি কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। খেঁজুরের দাম প্রতিদিন বাড়ছে।
খুলনার বড় বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ১০ টাকা, ডাল ৫ থেকে ১০ টাকা, পিঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা, রসুন ২০ থেকে ২৫ টাকা ও আলুর দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত।
প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। আগে ওই আদা বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। জিরা ৪৪০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু দিন আগে ওই জিরা বিক্রি হয় ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা কেজি দরে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে চিড়া, মুড়ি, গুড়, খেঁজুর, ছোলা, চিনির দাম বাড়তির দিকে। ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চিড়ার দাম বেড়েছে ৮০০ থেকে হাজার টাকা। বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৫ টাকা, চিনি ৬৫ টাকা, মুড়ি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বড় বাজারে সাধারণ মিনিকেট চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ভালো মানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার ওপরে। প্রতি কেজি বালাম চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায়, আর স্বর্ণা চাল ৪০ থেকে ৪১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক মাস আগেও এসব চালের দাম ৮/১০ টাকা কম ছিল।
বড় বাজারের মেসার্স এনসিডি বাণিজ্য ভাণ্ডারের চাল ব্যবসায়ী মধুসূদন দাশ বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ব্যবসায়ী মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মসুর ডাল (মোটা) ৮৫ থেকে ৮৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা প্রতি কেজি। জিরা ৪৪০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা দরে। খেসারি ও মুগ ডাল প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।