চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃতথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করতে জঙ্গি ও খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে।শনিবার (২৪ আগস্ট) এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রাজনীতিকে কলুষিত করার জন্য দায়ী ‘রাজনীতিকদের জঙ্গি লালন ও খুনিদের আশ্রয় দান।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে নগরীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র লীগ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি (বিএফডিএ) এবং বাংলাদেশ নির্মাণ ও পরিবেশক সমিতি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ড. হাছান বিএনপিকে খুনিদের রাজনৈতিক মঞ্চ উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশে এ ধরনের রাজনীতি সম্ভব নয়। অন্য কোনো দেশে এমন ক্রিমিনাল রেকর্ডের রাজনীতিকদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হয় এবং চিরদিনের জন্য রাজনীতি ত্যাগ করতে হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা কব্জা করেছেন এবং এমনকি ক্ষমতায় আসার পরও তার হত্যার খেলা অব্যাহত ছিল। শতশত সেনা কর্মকর্তা তার নৃশংসতার শিকার হয়েছে।
ড. হাসান বলেন, জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে দেশে সন্ত্রাসের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেন, সে সময়ের উপ-সেনা প্রধান জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন। জিয়া যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতে পারলেন, তখন তার দায়িত্ব ছিল তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা, কিন্তু তিনি সেটি করেন নি।
বরং জিয়া, ‘বঙ্গবন্ধু’র খুনিদের বিদেশে চাকরি দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করেছেন এবং তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুনিদের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী বানিয়েছেন, তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে সবকিছু জানতেন এবং তার ছেলে তারেক জিয়া এই হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তিনি বলেন, এই গ্রেনেড হামলার পর হামলায় খালেদা জিয়ার সরকারের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যায়। পুলিশ হামলাকারীদের নিরাপদে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। হামলায় আহতদের চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালের সকল সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। হাসপাতাল চত্বরে সকল ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল বিএনপিপন্থি চিকিৎসক সে দিন হাসপাতালে অনুপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রেনড হামলায় জড়িত থাকার জন্য মামলায় তারেক জিয়ার সাজা হয়েছে। আমরা চাই তার সবোর্চ্চ শাস্তি হোক।
চলচিত্র লীগ সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার, চলচিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, বিএফডিএ সভাপতি মুসফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেতা আলমগীর ও ফেরদৌস, অভিনেত্রী মৌসুমি ও অঞ্জনা বিশ্বাস অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন। বাসস।