শনিবার বহুল আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে শুধু বসুরহাট বা নোয়াখালীই নয়; সারা দেশে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ থেকে আবদুল কাদের মির্জা (নৌকা), বিএনপি থেকে কামাল উদ্দিন চৌধুরী (ধানের শীষ) ও জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন (মোবাইল ফোন)।
এছাড়া ৩২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন ২৫ জন ও মহিলা প্রার্থী হচ্ছেন ৭ জন।
এ পৌরসভায় মোট ভোটার ২১ হাজার ১১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৬২১ জন ও মহিলা ভোটার ১০ হাজার ৪৯১ জন।
সারা দেশে পৌরসভা নির্বাচন হলেও এ পৌরসভা নির্বাচনটি সারা দেশে আলোচিত হয়ে উঠে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই আওয়ামী লীগদলীয় মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জার বিভিন্ন ধরনের বক্তব্যের কারণে।
নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের সব কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাই শান্তিশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে শুক্রবার থেকে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে বলে জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, প্রার্থী ও ভোটারের নিরাপত্তা, কেন্দ্রের নিরাপত্তা, নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে ৯টি কেন্দ্রে ২২০ জন পুলিশ, ৪ প্লাটুন (৮০ জন) বিজিবি ও ২৪ জন র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
৯টি কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলার তদারকি ও দিকনির্দেশনার সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন একজন করে মোট ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান জানান, জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম ম্যাজিস্ট্রেটদের দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য সারাদিন বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় অবস্থান করবেন।
তিনি বলেন, সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাউকে কোনোরকম অনিয়ম করতে দেয়া হবে না।
এ পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার সৈয়দ আনোয়ার নাদিম জানান, এখানে ৯টি কেন্দ্রেই ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে পুরো বসুরহাট পৌরসভা এলাকাকে সিল করে দেয়া হয়েছে। পৌর এলাকায় প্রবেশের প্রতিটি রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এলাকার ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিক, ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ছাড়া আর কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, অস্ত্র তো দূরের কথা লাঠি নিয়েও কাউকে কেন্দ্রে বা কেন্দ্রের আশপাশেও আসতে দেয়া হবে না।