সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ আর নেই | চ্যানেল খুলনা

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ আর নেই

যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন। বিবিসি জানিয়েছে বাকিংহ্যাম প্যালেস তার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেছে। বিবিসি জানায়, ‘ডিউক অব এডিনবার্গ’ খেতাবধারী এই যুবরাজের বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর।

বাকিংহ্যাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, মহামান্য রানি জানিয়েছেন, তার প্রিয়তম স্বামী ডিউক অফ এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যু হয়েছে। উইন্ডসর প্রাসাদে সকালে শান্তিপূর্ণভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।’

ফিলিপের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন গভীর শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

প্রিন্স ফিলিপ গ্রিসের করফু দ্বীপে ১৯২১ সালের ১০ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গ্রিস ও ডেনমার্কের প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছিলেন হেলেনসের রাজা প্রথম জর্জের ছোট সন্তান। আর প্রিন্স ফিলিপের মা প্রিন্সেস অ্যালিস ছিলেন লর্ড লুইস মাউন্টব্যাটনের মেয়ে। প্রিন্সেস অ্যালিস ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার নাতনির সন্তান।

রানির জীবন সঙ্গী হলেও ফিলিপের কোনো সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল না। কিন্তু রাজ পরিবারের এতো ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ তিনি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে ১৯৪৭ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ফিলিপ। এই রাজ দম্পতির চার সন্তান। রয়েছে আট নাতি-নাতনি, তাদের ঘরে আছে ১০ সন্তান।

দ্বিতীয় এলিজাবেথকে বিয়ে করার পর ১৯৫২ সাল থেকে তিনি রাজদায়িত্ব পালন শুরু করেন প্রিন্স ফিলিপ। এককভাবে ২০ সহস্রাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন গ্রিস ও ডেনমার্কের এই সাবেক রাজকুমার।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী প্রিন্স ফিলিপ তার স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করতে পুরো বিশ্ব ঘুরেছেন। এই সফর যেমন ছিল রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে তেমনি রাজকীয় ভ্রমণও কম ছিল না।

রানির স্বামী হিসেবে গোটা দুনিয়া তাকে চিনলেও ব্রিটেনের মানুষের কাছে রানির পরই তার স্থান। তাদের দীর্ঘ ৭৩ বছরের দাম্পত্যও ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে অনন্য নজির হয়ে রয়েছে। সংকটের সময় রানির সবচেয়ে বড় আস্থার জায়গা ছিলেন তিনিই। বহুবার রানি নিজ মুখেও এই ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রিন্স ফিলিপকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে রাজপরিবারের রক্ষণশীলতাকেও ভাঙতে কুণ্ঠা করেননি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কৈশোরেই ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে কর্মরত ফিলিপের প্রতি অনুরাগ জন্মায় রানির।

কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত যাদের হাত ধরে, সেই জার্মানির অভিজাত মহলে ওঠাবসা ছিল ফিলিপের পরিবারের। তিনি ব্রিটেনে চলে এলেও, তার পরিবারের অনেকেই জার্মানিতে থেকে গিয়েছিলেন। এমনকি তাঁর বোনেদের বিয়েও হয়েছিল নাৎসি-সংযোগ থাকা অভিজাত জার্মান পুরুষদের সঙ্গে।

তাই ফিলিপের সঙ্গে রানি এলিজাবেথের বিবাহে অনীহা ছিল রাজ পরিবারের। তবে সব বাধা পেরিয়ে, ১৯৪৭ সালে ২১ বছর বয়সে ফিলিপের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

তবে সে আমলের প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ে করার জন্য প্রিন্স ফিলিপকেও কম ছাড় দিতে হয়নি। ১৯৪৭ সালে গ্রিক ও ড্যানিশ রাজকীয় উপাধি ছেড়ে দেন তিনি। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন ফিলিপ। এরপরই অনুমতি মেলে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ে করার। তখন পর্যন্ত রানির মুকুট পরেননি এই রাজকুমারি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাদের বিয়েই ছিল সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। রানির প্রতি প্রিন্স ফিলিপের প্রেম ও আন্তরিকতা ছিল অতুলনীয় ও অবিচল। তিনি তার নৌসেনার ক্যারিয়ার ছেড়ে দিয়েছিলেন স্ত্রীর রাজকর্মে সহযোগিতার জন্য।

বহু দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দিতেন অন্তত ৮০০টি প্রতিষ্ঠানকে। প্রবর্তন করেছিলেন ডিউক অব এডিনবরা অ্যাওয়ার্ড স্কিমের। বন্য প্রাণী সংরক্ষণে প্রচণ্ড আগ্রহী ছিলেন। আগ্রহ ছিল প্রযুক্তি আর খেলাধূলা নিয়েও।১৯৪০–এর দশক থেকেই প্রিন্স ফিলিপ যুক্তরাজ্যের সাধারণ মানুষের জীবনে নিত্য উপস্থিত এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

এদিকে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘প্রিন্স ফিলিপ অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করেছেন।’

অসুস্থ বোধ করায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ৯৯ বছরের প্রিন্স ফিলিপকে কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।হৃদযন্ত্র পরীক্ষার জন্য পরে তাকে আরেকটি হাসপাতালে সাত দিন রাখা হয়। সেখানে সফলভাবে তার হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা ও চিকিৎসা হয় বলে জানিয়েছিল বিবিসি। দীর্ঘ প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর মার্চের মাঝামাঝিতে হাসপাতাল ছেড়েছিলেন প্রিন্স ফিলিপ।

ডিউক অব এডিনবরার প্রতি শ্রদ্ধায় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

তার শেষকৃত্য নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। সময়মতো সবকিছু প্রকাশ্যে আনা হবে। তবে প্রিন্স ফিলিপ আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, সাড়ম্বরপূর্ণ শেষকৃত্য চান না তিনি। সেই মতো ফ্রগমোর কটেজের বাগানেই তাকে সমাহিত করা হতে পারে।

https://channelkhulna.tv/

আন্তর্জাতিক আরও সংবাদ

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনেই ধর্ষণ, সত্যতা পেলেন বিচারক

শক্তি হারাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা : থাই প্রধানমন্ত্রী

ইউক্রেনের চেয়ে গাজায় ৬ গুণ বেশি নারী-শিশু নিহত

রাশিয়াকে ‘জুলফিকার’ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইরান

একমাত্র দেশ হিসেবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

রমজান মাসে কুয়েতে ৪ ঘণ্টার অফিস

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
উপদেষ্টা সম্পাদক: এস এম নুর হাসান জনি
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: শেখ মশিউর রহমান
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
ঢাকা অফিসঃ ৬৬৪/এ, খিলগাও, ঢাকা-১২১৯।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য আবেদিত।