রামপালে নিহত ফিরোজের সহযোগী মতিয়ার রহমান কে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় রামপাল থানায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামিদের আবারো আসামি করা হয়েছে বিল্লাল বেপারীগংদের।
শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে ৩৬ জনকে আসামী করে মামলাটি করেন তাজুল ইসলাম। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে এসেই কথিত আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল বেপারী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আবারো হামলা শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর উপজেলার কাষ্টবাড়িয়া গ্রামের সরকারি রাস্তার উপর ফিরোজ শেখকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার ৯ আসামি ২০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে বেরিয়ে এসেই আবারো আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। তারা বৃহস্পতিবার রাতে মাইক্রো যোগে থানায় এসে পুলিশ সাথে নিয়ে তারা বীরদর্পে বাড়িতে যায়। এরপর তারা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালানোর অংশ হিসেবে শুক্রবার ভাগা বাজারে দেশী তৈরি ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া শুরু করে।
তারা ওই দিন বিকাল ৪ টায় কাদিরখোলা গ্রামের মতিয়ার রহমানকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় ভাগার আওয়ামী লীগের অফিস থেকে বিল্লাল বেপারী, তার দুই পুত্র শাহাজান ও রুহুল আমীন এবং ফারুক হোসেন, আব্বাস আলী, আ. ওয়াদুদ, হোসেন আলী, বাচ্চু সরদার, হুমায়ুন সরদার, জলিল গাজীসহ ১১ জনকে আটক করে রামপাল থানা পুলিশ। আটককৃতদের শনিবার সকালে বাগেরহাটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
সুত্র জানায়, উপজেলার ক্ষমতাশীন দলের এক নেতার মদদে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রামপাল সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামীল হাসান জামুকে কোনঠাসা করতে ও চিরতরে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে মাঠে নামেন। তাদের মদদেই খুন হয় ফিরোজ। ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। আধিপত্য বিস্তারে মাঠ দখল ও ৫ গ্রামের মানুষকে জিম্মি করে শুরু করে চাঁদাবাজী ও লুটপাট।
উপজেলার আইন শৃঙ্খলা সভায় এ নিয়ে আলোচনা হলেও টনক নাড়েনি কর্তৃপক্ষের। এ নিয়ে রয়েছে বিস্তার অভিযোগ। এলাকার সচেতন মহলের দাবি আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের বিশেষ নজরদারির বৃদ্ধি করতে হবে। না হলে আরও বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।