রামপাল উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য অনিন্দ্য মন্ডলের বিরুদ্ধে খালে বাঁধ দিয়ে আটকে রেখে মাছ চাষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি খাল বাঁধ দিয়ে রাখার ফলে আমন আবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন আমন চাষিরা।
অভিযোগ পত্র পাওয়ার পর রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ব্যবস্থা নিতে বলেন। সহকারী কমিশনার শেখ সালাউদ্দিন দিপু সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য হুড়কা ইউনিয়ন তহশিলদারকে নির্দেশ দেন। তহশিলদার অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে সরেজমিনে গিয়ে গাজীখালী গ্রামের অংকুর খালে বাঁধ দেখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এরপর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি বলে অভিযোগ করেন আমন চাষি আ. জব্বার, বাচ্চু শেখ, মনোজ কুমার। তারা বলেন আমন রোপণ মৌসুম শেষ হয়ে গেলে বাঁধ কেটে কি লাভ ?
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিবুল আলম কে অভিযোগের কপি দেখিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন আমরা ধরাবাহিকভাবে আটকে রাখা নদী, খালের বাঁধ অপসারণ ও অবৈধভাবে মিনি ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন জোরদার করেছি। যেখানে এ ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘোষিয়াখালী ক্যানেলের নাব্যতা নিশ্চিত করতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।