রামপাল প্রতিনিধি:: রামপালে কিশোরী (১৩) কে অপহরণের ঘটনায় মামলা করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন ভূক্তভোগী পরিবার। মামলার অন্যতম ২ নং আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নিতে চাপ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর পরিবারের সদস্য ও ভিকটিমের বোন নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার দুপুরে রামপাল থানায় ৩ জনকে বিবাদী করে একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার বড়কাটালী গ্রামের জনৈক মুদি ব্যবসায়ীর পঞ্চম শ্রেনীতে পড়–য়া কিশোরী কন্যাকে প্রলোভন দেখিয়ে ও জোর পূর্বক গত ১৯অক্টোবর সকাল ৯টার সময় মটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। খোজাখুজির পর না পেয়ে ২০ অক্টোবর কিশোরীর পরিবার রামপাল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। মামলা সূত্র ধরে রামপাল থানা পুলিশ ও র্যাব-৬ খুলনার সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে খুলনার ডুমুরিয়া এলাকা থেকে ওই কিশোরী উদ্ধারসহ পাচারকারী ইলিয়াস সানা (৩৫) কে আটক করে। একইদিন রাতে মামলার দুই নং আসামী মাহারুন শেখ (৩৫) কে আটক করে। কিশোরীর দেওয়া জবানবন্ধি সূত্রে জানা যায়, তাকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে খুলনা শহরের বেশ কয়েক জায়গায় ঘোরাঘুরির পর ডুমুরিয়ার একটি বাড়িতে আটকিয়ে রাখে। ওই সময় তাকে জোর পূর্বক বেশ কয়েক বার ধর্ষণ করে। কিশোরীর বোন মনিকা খাতুন জানান, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনী উপজেলার সুদর্ভকাঠি প্রতাপনগর গ্রামের ইয়াসিন সানার পুত্র ইলিয়াস সানা ও বড়কাটালী গ্রামের মৃত হাসেম শেখের পুত্র মাহারুন শেখসহ অজ্ঞাত পাচারকারীরা সুকৌশলে পাচারের উদ্দেশ্যে তার বোনকে
অপহরণ করে। পরে তাদের রামপাল থানা পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। মামলার কারণে আসামীরা বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকী দিচ্ছে। যে কোন সময় আমাদের জানমালের ক্ষতি করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছি। এ ব্যাপারে রামপাল থানার ওসি মোঃ মনজুরুল আলম এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, ভিকটিমসহ পরিবারের সদস্যদের হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তে অপহরণ ও হুমকির ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত
থাকার প্রমান পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।