বাগেরহাটের রামপালে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিবাদীর একের পর এক হয়রানি মুলক মামলা থেকে রেহাই পেতে সংবাদসম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো:জাহিদুর রহমান ও মো:কাজল।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৪ টার সময় ভুক্তভোগী মো:জাহিদুর রহমান ও মো:কাজল রামপালের দোয়ানেরকুল এলাকায় মো:কাজল এর নিজ বাড়িতে লিখিত বক্তব্যে জানান, বৈধ জমির মালিক মহিউদ্দিন মো:মাহামুদ চৌধুরীর নিকট থেকে ২০১৯ সালে মোংলা উপজেলার ২নং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের বিদ্যারবাওন মৌজার ৩০১ ও ৩০২ নং খতিয়ানে ৯৯৯ ও ৮২৪ নং দাগের ১ একর ৮৯ শতক জমি ক্রয় করিয়া শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস ও ভোগদখল করে আসছি। বিবাদি পক্ষ সমিরুন রায় আমাদের বৈধ জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ও মামলা করে আসছে। বিবাদি গত ০৪ জানুয়ারি ২০২২ মোংলা উপজেলার ২নং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের কয়েক দিন যেতেনা যেতেই মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের কাছে আরো একটি লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগগুলো প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় বিবাদি সমীরন রায় বাগেরহাটের বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে (মোংলা এ) ঐ একই জমি নিয়ে আরো একটি মামলা করেন।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তবোগীরা আরো বলেন, সমীরন রায় তার পেশিশক্তি ও লাঠিয়াল বাহিনী ব্যবহার করে আমাদের ভোগ দখলে থাকা জমি থেকে আমাদের কে উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তিনি যে কোন সময় জমির লোভে আমাদের নামে ধর্ষণ ছিনতাই চাঁদাবাজি নারীনির্যাতন মামলাসহ বিবিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করতে পারেন বলে আশংকা প্রকাশ করছি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা যাতে আমাদের দখলে থাকা বৈধ জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারি ও নিরাপত্তা পেতে পারি সেজন্য প্রশাসের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যপারে বিবাদি সমীরন রায়ের মুঠোফোনে জানতেচাইলে তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে সংবাদসম্মেলন করেছে তারা তাদের কেনা জমি বলে আমার জমি জোরকরে দখল করে খাচ্ছে। তাই আমি আমার জমি ফেরত পাওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ও ভূমি অফিসে অভিযোগ করেছি এবং পরে কোর্টে মামলা করেছি।