রামপালে পরিবর্তনের হাতছানি একটা বিদ্যালয় থেকে। কিছু তরুণের হাতের ছোঁয়ায় বিদ্যালয়টিতে পরিবর্তন শুরু হয়েছে। যারা মল্লিকেরবেড় সন্নাসীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির মতো ইউনিয়নের সকল বিদ্যালয়গুলোতেও পরিবর্তনের সুবাতাস পৌঁছে দিতে চান অতিদ্রুত। সবাই এগিয়ে আসুন, সবাই মিলে একতাবদ্ধভাবে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করলে অসম্ভাব বলতে কিছুই নাই এই পৃথিবীতে । সন্ন্যাসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আজকের চিত্র এটি।নতুনদের নবীনবরণ করে নিলো স্কুল কর্তৃপক্ষ। তরুণরা ইতিমধ্যে স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে দিয়েছে । ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে করোনা কালীন সেবা অব্যাহত রাখছেন তারা। প্রতিটি জাতীয় দিবসে স্কুল থেকে বিশাল র্যালি করার পরিকল্পনা ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে এবং গত ১৬ ডিসেম্বর জাঁকজমকপূর্ণ পালন করেছেন। স্কুলের প্রতিটা শ্রেনীতে ২ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে ক্লাস প্রতিনিধি নির্বাচন করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চোলছে । বখাটেদের উৎপাত বন্ধ করে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে এবং স্কুলের পরিবেশ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একটা টিম প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছে । শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং শিক্ষা সফরের উদ্দোগ নেওয়া হয়েছে । আগামী বছর থেকে প্রতি শ্রেনীর মেধা তালিকার প্রথম পাঁচ জনকে পুরুস্কৃত করা হবে যা ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । নিভৃত সমাজ সেবক আল মামুন হাওলাদার ও প্রাক্তন ছাত্র তালুকদার ইয়াছিন আরাফাত জানান, আমরা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে বিদ্যালয়টিসহ ইউনিয়নের সকল বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই। এ জন্য তারা সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ পাল এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিদ্যালয়ে পাঁচ শতাধিকের উপরে শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। আমাদের আবাসন সমস্যা সমাধানে বিদ্যালয়ের উর্ধমুখি সম্প্রসারণ খুবই জরুরী। স্কুলে চাহিদা মাফিক বেঞ্চ নাই। এ জন্য আমাদের সুহৃদ মোহাম্মদ আল মামুন হাওলাদার এক লক্ষ টাকা স্কুলের জন্য পাঠিয়েছেন। বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নেই। শিক্ষক-শিক্ষিকারা সাফল্য ধরে রাখতে খুবই আন্তরিক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিদ্যালয়কে আদর্শ, যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। সব মিলিয়ে শিক্ষার মান ও সম্মানজনক। সকলে মিলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করলে হবে তাহলেই সব সম্ভাব ।