বাগেরহাটের রামপালে শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারধরের মামলায় সৈয়দ মোহাম্মাদ ওসমান গনি (৩০) নামের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ মার্চ) রাতে রামপাল উপজেলার শ্রিফলতলা উত্তরপাড়া হাজী আরিফ কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে রামপাল থানা পুলিশ।
এর আগে সন্ধ্যায় মারধরের শিকার শিক্ষার্থী মো. শুকুর শেখের বাবা মো. মনি শেখ বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আহত শিক্ষার্থী মো. শুকুর শেখ (১১) শ্রিফলতলা উত্তরপাড়া হাজী আরিফ কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার নজরানা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং রামপাল উপজেলা গাববুনিয়া গ্রামের মনি শেখের ছেলে।
আর গ্রেফতার সৈয়দ মোহাম্মাদ ওসমান গনি শ্রীফলতলা উত্তরপাড়া হাজী আরিফ কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার ঝিনাইগাতি এলাকার হাসান আলীর ছেলে।
জানা যায়, ভালো পড়াশোনা না করার অপরাধে রোববার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮ টায় মাদ্রাসার ফ্যানের রডের সঙ্গে ঝুলিয়ে শিক্ষার্থী মো. শুকুর শেখকে মারধর করেন শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মাদ ওসমান গনি। বিষয়টি জানাজানি হলে রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা রামপাল থানায় মামলা করেন। ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা এখন ভালো নয়, সে বাড়িতেই রয়েছে। ওই শিক্ষার্থী জানায়, শনিবার সকালে বাড়িতে এসে শরীর অসুস্থ থাকায় বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন রবিবার সকালে মাদ্রসায় গেলে ওই শিক্ষক তাকে গামছা দিয়ে ফ্যানের রডের সাথে বেঁধে রেখে বেত দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটান। এতে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার পারও তার মুক্তি মেলেনি। সন্ধ্যা পর্যন্ত শিকল তালা দিয়ে বেধে রাখেন ওই শিক্ষক। সন্ধায় তার মা নাসিমা বেগম মাদ্রসায় গেলে ওই শিক্ষক দূর্ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে ছাত্রের মামা ইসতাজুল মোল্লা তাকে উদ্ধার করে রবিবার রাতে থানায় নিয়ে আসেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষক ছাড়া পেতে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন। নির্যাতনকারী ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন রামপাল উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখসহ নেতৃবৃন্দ। রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ সামসুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগের মামলায় আমরা মাদ্রাসা শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মাদ ওসমান গনিকে গ্রেফতার করেছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।