মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২১ জুলাই ৩য় পর্যায়ের তৃতীয় ধাপের প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে।
বাগেরহাটের রামপালে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি সংযোগ থেকে আশ্রয়ণের ৩য় পর্যায়ের তৃতীয় ধাপে উপজেলায় মোট ১০৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে কবুলিয়ত দলিল ও নামজারি খতিয়ানসহ নতুন ঘর হস্তান্তর করেছেন। ইতোপূর্বে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্যায়ে রামপালে ১০টি ,২য় পর্যায়ে ৪০ টি এবং ৩য় পর্যায়ের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সুন্দরবনের জলদস্যু বাহিনীর হান্নান সরদার আত্মসমর্পণকৃত সাভাবিক জীবনে ফিরে পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘর। প্রধানমন্ত্রী জলদস্যু ও বনদস্যুদের সাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য তাদের নির্বিগ্নে বসবাসের জন্য সকলকে পর্যায়ক্রমে ঘর প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আরো ১০৩২ টি ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
এসময় অন্যান্যর মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান, বিভাগীয় ডিআইজি ডাঃ মহিউদ্দিন (বিপিএম বার), অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আজিজুর রহমান।
৩৩ বছর বয়সী হান্নান সরদার ছিলেন দুর্ধর্ষ জলদস্যু। বর্তমানে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছেন। অস্ত্র ফেলে জঙ্গল ছেড়ে আছেন মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িতে। ফেরারি জীবনে ঘর ছিল না, ঠিকানা ছিল না। সেই হান্নান শেখের এখন বাড়ি হয়েছে, স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে। এনিয়ে আবেগাপ্লুত হান্নানের এখন জীবনে পরিবর্তন এসেছে।