খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ সভা আজ (সোমবার) দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত। সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো পিপিই-এর ভিত্তিতে চালু না হওয়া পর্যন্ত মিলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
মিলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মিলের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি এবং চুরির শঙ্কা থাকায় পাটকলগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য আজ এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনার পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, সরকার পাটকলগুলোর শ্রমিকদের সমুদয় আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করে অব্যহতি প্রদান করেছে। দেশে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আছে, বিজেএমসি আছে এবং অতি দ্রুত খুলনাসহ দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো পিপিই-এর ভিত্তিতে চালু হবে। তাই রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাটকলগুলোর রক্ষাবেক্ষণ ও তদারকি করা মিলগুলোর প্রকল্প প্রধান এবং মিলে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারির রাষ্ট্রীয় এবং নৈতিক দায়িত্ব।
খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক তাঁর বক্তৃতায় বলেন, পাটকলগুলোর শ্রমিকরা শুধু উৎপাদন কাজে নিয়োজিত ছিলো। মিলগুলো সচল থাকার সময়ও যেমন মিলের নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণের মূল দায়িত্ব ছিলো কর্মকর্তাদের, তেমনি এই বন্ধকালীন সময়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই দায়িত্ব অবহেলার কোন সুযোগ নেই।
পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, মিলগুলোর নিরাপত্তার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিল কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগি হিসেবে সব সময় পাশে থাকবে। এছাড়া তিনি প্রতিটি পাটকলে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক তদারকির পরামর্শ দেন।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে মিলগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে জেলা প্রশাসনের আইসিটি বিভাগ সকল ধরণের সহযোগিতা প্রদান করবে। প্রয়োজন হলে খুলনা বিশ^বিদ্যালয় এবং কুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেয়া হবে।
এছাড়াও সভায় জানানো হয়, পাটকলগুলোর নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসহ আনসার নিয়োগ অনুমোদন হয়েছে। পাশাপশি শিল্প পুলিশ, নৌপুলিশের তদারকি কার্যক্রম বৃদ্ধি করা, মিলগুলোর নদী তীরবর্তী সীমানায় নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় র্যাব, খুলনা জেলা পুলিশ, শিল্প পুলিশ, নৌপুলিশ, বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তাসহ পাটকলগুলোর প্রকল্প প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।