চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ রাস্তা দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়ে রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ-মমরেজপুর রাস্তাটি পাকা করণের দাবিতে রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে এ প্রতিবাদ জানায় এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ-মমরেজপুর রাস্তাটি পাকা করণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে ধর্ণা দিয়ে যাচ্ছেন এলাকাবাসী। জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি পাকা হয়নি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ওই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ থেকে মমরেজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা বৃষ্টি বাদলের মধ্যে এবারও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ এলাকার রাজীবপুর ইউনিয়নের দেবস্থান, রাজীবপুর, ভট্টপুর, হাট ভোলসোমা, বৃ-ঘাগড়া গ্রামসহ পাঁচটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের নিত্যদিনের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। এছাড়া রাস্তাটি দিয়ে মমরেজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনুছিয়া মাদ্রাসা ও হাসমতিয়া মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। বর্ষাকালে রাস্তায় পানি জমে থাকার ফলে অল্পতেই কাঁদার সৃষ্টি হয়। ফলে এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এদিকে ওই পাঁচটি গ্রামের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ধান, পাট, শাক-সবজি বাজারজাত করতে এ রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকেন। রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে বর্ষাকালীন সময়ে কৃষক ও সর্বসাধারণের দুর্ভোগের আর সীমা থাকে না।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণের উদ্যোগ না নিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
স্থানীয় আক্তার হোসেন ও উমর ফারুক জানান, রাস্তাটির দুরবস্থার ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বারবার অবগত করার পরও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে রবিবার চলাচলের অনুপযোগী ওই রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে এর প্রতিবাদ জানায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোদাব্বিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে রুমানা তুয়া জানান, ইতোপূর্বে রাস্তাটি নিয়ে কেউ কথা বলেনি। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। এ সময় দ্রুতই রাস্তাটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।