নগরীর রায়েরমহলের আলোচিত বৃদ্ধ আমির আলী হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত দু’ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) তাদের দু’দিনের রিমান্ড শেষ হয়।
আসামিরা হলো মোয়াজ্জেম মোল্লা ও মিজান মোল্লা। তাদের কাছ থেকে পুলিশ হত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য বের করতে পারেনি। তবে প্রয়োজনে তাদের আবারো রিমান্ডে আনা লাগতে পারে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপসা নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ আঃ মুন্নাফ আলী।
তিনি বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন একজন সরকারি কর্মচারি হলেও নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দেখাশুনা করেন। ওই চাকুরি থেকে সে সাসপেন্ডে রয়েছে। এছাড়া নিজেদের নিকটজনদের জমি ক্রয় বিক্রি করেন। এসব করে তিনি প্রচুর টাকার মালিক হয়েছে। মোয়াজ্জেম দু’টি হত্যা ও একটি মারামারি মামলার আসামি বলে রেকর্ড খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে আটককৃতরা খুবই চালাক। তারা উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।
তিনি আরও জানান, বাকী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে, তবে তাদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
নিহত আমির আলীর স্ত্রী ও মামলার বাদী জামিলা বেগম বলেন, ওই দু’জন আসামি ধরেই সব যেন ক্ষ্যান্ত। আর কোন অগ্রগতি নেই। নেই হত্যার রহস্য উদঘাটনে সফলতা। এ হত্যা মামলার মূল আসামি মোয়াজ্জেম মোল্লা সিরিয়াল কিলার ও ভূমিদস্যু। ফায়ার সার্ভিসের সামান্য ফায়ারম্যান হয়ে কি করে কোটি-কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তা দুদকের তদন্তের দাবি তোলেন তিনি। অবিলম্বে আমির শেখ হত্যা মামলার বাকী আসামিদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানান এই বৃদ্ধ মহিলা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর আছর নামাজ পড়ে আমির আলী রায়েরমহল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওই দিন প্রথমে ভ্যানে ও পরে তাকে ইজিবাইকে নিয়ে হত্যা করে তার লাশ নদীতে ফেলে দেয় ঘাতকচক্র। তাকে হাত পা বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ২৫ নভেম্বর পুলিশ লাশ পাওয়ার পরও নিয়ম না মেনেই গোপনে দাফনের চেষ্টা করে। যা লাশ গুম করার চেষ্টা বলে নিহতের স্বজনরা জানান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জামিলা বেগম বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ মোয়াজ্জেম মোল্লা ও মিজান মোল্লাকে র্যাব গ্রেফতার করে।