চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃঠিকাদারের গাফিলতির কারণে খুলনার রূপসা উপজেলার আলাইপুর-ভবানীপুর নির্মাণাধীন সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। খানাখন্দে সড়কটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলী একাধিকবার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগিদ দিলেও ঠিকাদার তাতে কর্ণপাত করেননি।
জানা যায়, সড়কটি দীর্ঘদিন অবহেলায় থাকার পর সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। ২৭ আগস্ট সড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সড়কের কাজ এখনও এক চতুর্থাংশ সম্পন্ন হয়নি। সড়কটি ৩.৭ মিটার চওড়া এবং ১২ ইঞ্চি মাটি খুঁড়ে নতুন করে বালু দিয়ে সড়কের কাজ শুরু করার কথা থাকলেও কাজের শুরুতেই দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সড়কের তলদেশ ১২ ইঞ্চি খোড়ার পর রোলার করার কথা থাকলেও সামান্য খোঁড়াখুঁড়ি করে রোলার না করে ধূলাবালির পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে নদীর পলি মিশ্রিত বালু উক্ত রাস্তায় আনা হয়। আর এ কারণে প্রবল বর্ষণে সড়কের অবস্থা হয়েছে কর্দমাক্ত এবং উক্ত সড়কে অর্ধশতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কে ব্যবহৃত ইটের মান সন্তোষজনক নয় এবং বর্তমানে উক্ত সড়ক দিয়ে যান চলাচল একেবারেই বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কে চলমান ইজিবাইক চালক মোঃ জাকির হোসেন জানান, এ সড়কে যান চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বর্ষা মৌসুমে উক্ত সড়কে প্রায় শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন বাদশা জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি যথারীতি সড়কের কাজ নিয়ে ধীরগতি অবলম্বন করছেন। নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ইদ্রিস আলী জানান, ঈদের ছুটির কারণে বর্তমানে সড়কের কাজ বন্দ রয়েছে। তবে সড়কের কাজের অনিয়ম সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান।
অপরদিকে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, সড়কের কাজ দেখভাল করার জন্য তাদের প্রতিনিধি সার্বক্ষণিক কর্মকা- পরিচালনা করছেন। তবে সঠিক সময়ে সড়কের কাজ শেষ হবে না বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান।
খুলনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম কবির হোসেন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি এবং জনদুর্ভোগের কথা আমি অবগত হয়েছি। অতি শিগগিরই জন দুর্ভোগ লাঘবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।