চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের ডোবা খাল খননে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ডোবার এ খালটির খনন কাজ চলছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাহিদ কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে।এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৫৫ বছর আগে মালিকানা জমির ওপর দিয়ে ১০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট প্রায় আড়াই কিলোমিটার এ খালটি খনন হয়। পরবর্তীকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ খালটি খননের আওতায় এনে ২৪ ফুট মালিকানা জায়গা খালের নামে রেকর্ড করে নেয়। যার কোনো ক্ষতিপূরণ জমির মালিকদের দেওয়া হয়নি।
পরবর্তী সময়ে আঠারোবেকী নদী শুকিয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়। এদিকে গত পাঁচ বছর ধরে এসব এলাকার মরা নদীর স্রোতধারা ফিরিয়ে আনতে খনন কাজ শুরু হয়। সে মোতাবেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জমির মালিকদের ১৯টি সেকশনে খাল খনন করা হবে বলে একটি নকশা দেখান। এতে প্রায় দেড়শ ফুট মালিকানা জমি খালের মধ্যে চলে যাচ্ছে। ভর্তুকি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শতাধিক জমির মালিক। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পানের বরজ, ধানের ক্ষেত, আবাসস্থল, বনজ ও ফলদ গাছসহ শীতকালীন সবজি ক্ষেত। জমির মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তারপরও আশায় বুক বেধেছিল গ্রামের জনসাধারণ। যথাযথভাবে খালটি খনন হলে এ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সিডিউলে উল্লেখিত কোনো নিয়ম মানছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শিডিউলে খাল খননের নির্ধারিত গভীরতা মোতাবেক খনন না করে দুই পাড়ের ওপরে মাটি ফেলে গভীরতা বেশি দেখানোর ছলচাতুরী করা হচ্ছে। বক্সারে ৫ ফুট জায়গা রাখার কথা থাকলেও রাখা হচ্ছে না বিন্দুমাত্র জায়গা।
এ ব্যাপারে জাহিদ কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারি জমির ওপর দিয়ে খাল খনন করছি। তবে খালের মাটি মালিকানা জমির ওপর ফেলা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ তাদের নেই বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন বাদশা ২২ নভেম্বর সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধান করে দিয়েছেন।
রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন বাদশা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালের কোথাও ৭০ ফুট, কোথাও ৮০ ফুট আবার কোথাও এর থেকে বেশি চওড়া করে খাল খনন করছে। এতে খালের পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, জনগণের ক্ষতি করে কোনো উন্নয়ন কাজ করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীরও নিষেধ রয়েছে। তাই আমি তাদের বলে দিয়েছি ৪০ থেকে ৪৫ ফুটের বেশি এ খাল খনন করা যাবে না।