খুলনার রূপসায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেয়ার সময় ১৮৩ পিচ লগ (গাছের গুড়ি) জব্দ করা হয়েছে। এসব লগের মূল্য তিন লক্ষাধিক টাকা।
বাগেরহাট সামাজিক বন বিভাগের নিয়োগকৃত ঠিকাদার ও রূপসায় কর্মরত কর্মচারির উপস্থিতিতে এই লগগুলো রূপসা থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। জেলা পরিষদের মালিকানাধীন রূপসার কুদির বটতলা থেকে সামন্তসেনা বাজার পর্যন্ত সড়কের পাশের জমি থেকে এসব গাছ কাটা হয়। রূপসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রূপসা উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বাগেরহাট সামাজিক বন বিভাগের নিয়োগকৃত ঠিকাদাররা কেটে নিচ্ছে। গতকাল রূপসার কুদির বটতলা থেকে সামন্তসেনা বাজার পর্যন্ত সড়কের পাশের জমি থেকে আবারও গাছ কেটে নেয়ার সময় মালিকানা নিয়ে জটিলতায় দুপক্ষের উপস্থিতিতে ১৮৩ পিচ লগ থানা হেফাজতে নেয়া হয়। মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার পর প্রকৃত মালিককে জব্দকৃত এসব লগ হস্তান্তর করা হবে।
জানা যায়, বাগেরহাট সামাজিক বন বিভাগ গত কয়েকদিন ধরে তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রূপসার বিভিন্ন স্থান থেকে এসব গাছ কেটে নিচ্ছে।
খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান জানান, জেলা পরিষদকে অবগত না করেই বাগেরহাট সামাজিক বন বিভাগের নির্দেশে গাছ কাটা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে তিনি বাগেরহাটের সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদের জমিতে থাকা গাছের টেন্ডার দেয়া হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে গাছ কেটে নেয়ার কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে। কিন্তু যেখানে গাছ কাটা হয়েছে সেই জমির মালিক খুলনা জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের অনুমতি ব্যতিত কিভাবে এ গাছ কর্তন করা হয়েছে জানা প্রয়োজন।
এর আগে ২৭ মার্চ বাগেরহাট সামাজিক বন বিভাগ তাদের আওতাধীন বাগেরহাট খুলনা পিরোজপুরে সামাজিক বনায়নে সৃজিত মেয়াদ উত্তীর্ণ খাড়াগাছ/জব্দকৃত/কর্তনকৃত/ঝড়েপড়া লটসমূহ বিক্রির জন্য দরপত্র আহবান করে। কিন্তু এ বিষয়ে খুলনা জেলা পরিষদকে অবহিত করেনি সামাজিক বন বিভাগ।