নাটোরে রেললাইনের পাশে গৃহবধূকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আনছের শেখকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার এলাকা থেকে নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার দুপুর ১২টায় গ্রেফতার স্বামীকে হাজির করে প্রেস ব্রিফিং করেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
গ্রেফতার আনছের শেখ পাবনা জেলার সদর উপজেলাধীন চকবারেরা গ্রামের মৃত ভানু শেখের ছেলে।
ওই হত্যা ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নাটোরের লালপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামে রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিচয় পাওয়া না যাওয়ায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে পুলিশের রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর মর্গে পাঠানো হয়। নিহত নারীর পরিচয় ও হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করে নাটোর জেলা পুলিশ।
পুলিশের তিনটি দল অভিযান চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার এলাকা থেকে নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার লিটন আরও জানান, অভিযুক্ত মো. আনছের শেখের সঙ্গে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার মো. আব্দুর রহমানের কন্যা শম্পা খাতুনের (২৫) বিয়ে হয় দুই বছর আগে।
নাটোরের লালপুর থানাধীন গোপালপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে তারা থাকতেন।
গত বুধবার রাত ৩টায় দাম্পত্য কলহে একপর্যায়ে স্ত্রী শম্পা রাগ করে বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হন। স্ত্রীর পিছু নিয়ে লালপুর উপজেলার সাদিপুর এলাকায় রেললাইনের পাশে স্ত্রীর ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে শম্পাকে হত্যা করে স্বামী মো. আনছের শেখ। ওই ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। পরে রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ তদন্তে বের হয়।