সরকারের সমন্বয়হীনতা,পরিকল্পনার অভাব ও উদাসীন আচরণের কারণেই করোনা মহামারি কঠিন আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।করোনাভাইরাস মোবাবেলায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে একটি ‘সর্বদলীয় কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এমন মন্তব্য করে এই প্রস্তাব রাখেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন করা হবে। জনগণ জানে না তার বিকল্প কী ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোজার সময় এই সর্বাত্মক লকডাউন কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে সম্পর্কে কোনো রোডম্যাপ দেয়া হয়নি। এটাও দেখিনি, সরকারের দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি এই নির্দেশনা নিয়ে জনগণের সামনে উপস্থিত হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের অভিজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামীর মতো আসবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার প্রকৃতপক্ষে ব্যর্থ হয়েছে জনগণের জীবন ও জীবিকা সুরক্ষা দিতে। সরকারের ভয়াবহ রকমের সমন্বয়হীন ও কৌশলগত পরিকল্পনার অভাবে আজকে সমস্যাটি একটা বড় রকমের জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তার অভিযোগ, ‘৫ই জানুয়ারি করোনার নতুন স্ট্রেইন যখন ধরা পড়ে, তখন সরকার তা গোপন রাখে। সময় ক্ষেপণ করে। বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সকল কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। সরকারকেও আমরা কর্মসূচি স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার জনস্বার্থ উপেক্ষা করে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমগ্র প্রশাসনকে ব্যস্ত রেখে দিয়েছিল। এর ফলে করোনা সংক্রণে পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘করোনা সংক্রমণে জাতীয় পরামর্শক কমিটি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিল না। পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্ত মানা হয়নি। সরকারি সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানতেন না, এটা প্রথম দিকের কথা বলছি। এখন লকডাউন দেয়া হয়েছে, কিন্তু লকডাউন বলতে যা বোঝায়, তার কোনোটাই এখানে মানা হয়নি। উপরন্তু যেদিন নির্দেশ দেয়া হলো, তার পরের দিনই তা বদলে দেয়া হলো গণপরিবহন এবং আজকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেয়া হয়েছে। সহজ বাংলায় যাকে বলে লেজেগোবরে অবস্থা হয়ে গেছে।’