বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী সাত দিনের বিধিনিষেধের মধ্যেও সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিনই ব্যাংক খোলা থাকবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে: “তফসিলি ব্যাংকসমূহের বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে আগামী ১৫ই এপ্রিল থেকে ২১শে এপ্রিল পর্যন্ত শুধু মাত্র কর্ম দিবসে সকাল দশটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। তবে লেনদেন হবে বেলা একটা পর্যন্ত। সীমিত জনবল দ্বারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসসমূহের ক্যাশ কাউন্টার ও ভল্ট খোলা রাখতে হবে।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নতুন নির্দেশনার ফলে ১৪ই এপ্রিল থেকে সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধসহ সব ধরণের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যে নির্দেশ আগে দেয়া হয়েছিলো তা বাতিল হয়ে গেল।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে আগামীকাল ১৪ই এপ্রিল থেকে ”কঠোর লকডাউন” বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যেই সরকারি যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেখানে সব ধরনের সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল।
সেই আলোকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে অনলাইন ব্যাংকিং চালু রেখে প্রয়োজনে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের করা যাবে বলে জানানো হয়েছিল।
এ হিসেবে আজ মঙ্গলবার লকডাউনের আগে শেষ কর্ম দিবসে ব্যাংকগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাংকের শাখাগুলোর সামনে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন।
ব্যাপক ভিড়ের কারণে কোন কোন শাখায় নগদ টাকার সংকটের কথাও গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
অন্যদিকে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে খোলা থাকছে গার্মেন্টসহ শিল্প কারখানা।
এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যাংকিং সেবা চালু রাখা নিয়ে নতুন নির্দেশনা পাঠানো হলে তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।