ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য ও জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়।
টানা ১৯ দিনের সফর শেষে ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকা ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দেশটির লন্ডন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটির অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড। একই দিন স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমদ।
পরের দিন শনিবার যুক্তরাজ্যের সময় সকাল ১০টায় দেশটির সংসদে বিরোধী দলীয় ও লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার আসবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে।
রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের রাজার আমন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। ওই দিন সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্যালেসে এই অভ্যর্থনাটির আয়োজন করা হবে।
সোমবার যুক্তরাজ্যের সময় বেলা ১১টায় ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানি এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। ওই দিন সন্ধ্যায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ছাড়বেন তিনি।
ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে থাকবেন দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
পরের দিন মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সংবর্ধনা সভায় যোগ দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সকাল ৯টায় অংশ নেবেন জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে।
একই দিনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি, স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুট পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম ফর উইমেন লিডার্স শীর্ষক অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি।
ওই দিন সন্ধ্যায় অ্যামেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাশনাল হিস্ট্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌজন্যে আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় টেকসই বাড়ি নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের পার্শ্ব কর্মসূচিতে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। ওই ভবনেই সাড়ে ১১টার সময় ডব্লিউইএফের নির্বাহী পরিচালক ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে অংশ নেবেন সরকারপ্রধান।
একই সঙ্গে কসোভোর প্রেসিডেন্ট, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি।
২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সময় সকাল সাড়ে ১০টায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
এ ছাড়াও আইওএম মহাপরিচালক, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, আইসিসি প্রসিকিউটর করিম খানের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
ওই দিন দুপুর ১টায় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজনেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে নিজের বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন সরকারপ্রধান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই দিন দুপুরে নিউ ইয়র্ক ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতেই অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অংশ নেবেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে।
২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি। লন্ডনে পৌঁছে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি নেবেন শেখ হাসিনা।
৩ অক্টোবর যুক্তরাজ্য সময় সকাল ৭টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।