লম্বা ঘন কালো চুল যে কোনো নারীর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। তবে অতিরিক্ত দূষণ ও নিয়মিত চুলের যত্ন না নেওয়ার কারণে চুল পড়ে যাওয়া, আগা ফাটা, চুলের বৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ঔজ্বল্য হারিয়ে যাচ্ছে। এসব সমস্যায় ব্যবহার করতে পারেন ক্যাস্টার অয়েল।
ফ্যাকাশে হলুদ রঙের এই তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এই তেল চুলের বৃদ্ধি ঘটায়, মাথার ত্বক ভালো রাখে এবং চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ এই তেল চুলে পুষ্টি সরবরাহ ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চুল পড়া কমায় ও গোড়া মজবুত করে।
তবে বেশি তেল লাগাবেন না। ১৫ থেকে ২০ মিনিট তেল চুলে মেখে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভালো করে চুল শুকিয়ে নেবেন। চুল শুকোতে হেয়ার ড্রায়ার বা ওই ধরনের কিছু ব্যবহার করবেন না।
আসুন জেনে নিই ক্যাস্টার অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা-
১. ক্যাস্টার অয়েলে ওমেগা-৬ ও ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, ফলে চুল দ্রুত বাড়ে। এ ছাড়া চুলের ফলিকল নষ্ট হয়ে তা ঠিক করতেও ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া এই তেল চুল পড়া রোধ করে।
২. চুল পাকতে শুরু করলে চিন্তার কিছু নেই। পাকা চুলে নিয়ম করে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন। এটি চুলের রঙ ধরে রাখে।
৩. রুক্ষ ও আগা ফাটা চুলের যত্নে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল চুলে মসৃণতা বজায় রাখবে।
৪. অনেক সময় চুল শুষ্ক হয়ে উড়তে থাকে। এ ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে অলিভ অয়েল ও নারিকেল তেল মিশিয়ে শুধু চুলে হালকা করে লাগিয়ে নিন।
৫. শুধু চুল নয়; ভ্রু ও চোখের পাতায়ও ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভ্রু ও চোখের পাতার ঘনত্ব বাড়বে।
৬. নতুন চুল গজাবে; ক্যাস্টর অয়েলে ব্যবহার করতে পারেন– ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ২ টেবিল চামচ আমন্ড তেল ও ২ টেবিল চামচ তিল তেল মিশিয়ে নিন। চার রকমের তেল ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়া ও স্ক্যাল্পে লাগান। হালকা গরম করে নিতে পারেন তেলের মিশ্রণটা। কম করে ১ ঘণ্টা রাখার পর শ্যাম্পু করে নিন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ক্যাস্টর অয়েল চুলের জন্য উপকারী হলেও এর বেশি ব্যবহারে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, স্কিনে ব়্যাশ, পেটের ব্যথা ও ডায়ারিয়া হতে পারে। তাই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে নিজের শরীরের দিকে নজর রাখবেন। কোনোরকম সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই