অনলাইন ডেস্কঃপ্রতি বছরের ন্যায় এবারও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাঠ কমিটি। এরই মধ্যে মাঠে দাগ কাটা, শহরের শোভাবর্ধনের কাজ, দেয়ালে রং করাসহ মাঠের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। প্রতি বছর জামাত ৯টায় শুরু হলেও এবার সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এবার জামাতে ইমামতি করবেন মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান।
এদিকে এটি শোলাকিয়ার ১৯২তম ঈদুল আজহার জামাত। শোলাকিয়া ঈদ জামাতের মূল ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ হজে যাওয়া মাওলানা হিফজুরকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ২০১৬ সলের ঈদুল ফিতরে জঙ্গি হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত শোলাকিয়ার ঈদের জামাতে নিরাপত্তার দিকটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পুরো আয়োজন সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় মাঠ পরিদর্শন করে সার্বিক প্রস্তুতির খোঁজখবর নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, মাঠের প্রস্তুতির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এবারের জামাতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি দুই প্লাটুন আধাসামরিক বাহিনী বিজিবি মোতায়েন থাকবে। পুরো ঈদগাসহ আশপাশের এলাকায় নজরদারির জন্য ৩২টি সিসি ক্যামেরা থাকবে। মেডিক্যাল টিম, ফায়ার সার্ভিস, বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ মুসলিদের যাবতীয় সুবিধাদি মাঠে নিশ্চিত করা হবে।
সংস্কার কাজ শেষে ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়ার ময়দান
জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন শহরের মারকাস মসজিদের খতিব মাওলানা হিফজুর রহমান। বিকল্প ইমাম থাকবেন আখড়াবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. তৈয়ব। প্রতিবারের মতো এবারো দূরবর্তী মুসলিদের ঈদ জামাতে শরিক হওয়ার সুবিধার্থে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন যাতায়াত করবে।
জেলা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, ঈদগাহসহ পুরো শহরকে ৮টি সেক্টরে ভাগ করে ঈদের দিন তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ঈদগায় যাবার ক্ষেত্রে ৩২টি চেকপোস্ট থাকবে। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি কয়েকটি ওপেন সার্কিট ক্যামেরাও থাকবে। তিনি ঈদকে সামনে রেখে কোনো বাসায় যেন কেউ নতুন ভাড়াটিয়া না ওঠান, সকল ভাড়াটিয়া বিস্তারিত পরিচয় থানায় জমা দেন, সে ব্যাপারেও শহরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া মুসলিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন- যেন কেবল জায়নামাজ ছাড়া কোনো রকম ব্যাগ বা ছাতা বহন না করেন।
উল্লেখ্য, রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শর্টগানের ৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি, এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে জামাত শুরুর সঙ্কেত দেওয়া হবে।