অনলাইন ডেস্কঃ সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির তড়িৎ প্রকৌশল বিদ্যা (ইইই) বিভাগের আয়োজনে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও এর চ্যালেঞ্জ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গ্যালারিতে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত-সচিব) মো. হেলাল উদ্দিন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্রেডার সদস্য (অতিরিক্ত-সচিব) সিদ্দিক জোবায়ের। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ বনমালী ভৌমিক (অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত-সচিব) এবং স্রেডার পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. মনজুর মোরশেদ। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক এবং তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রুমেল এম. এস. রহমান পীর।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আলীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এম.রকিব উদ্দিন, রেজিস্ট্রার মেজর (অব.) মো. শাহ আলম, পিএসসি, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ওয়াহিদুজ্জামান খান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রধান অতিথি মো. হেলাল উদ্দিন তার বক্তব্যে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জ্বালানি অপচয় কমাতে উৎসাহ প্রদান করেন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে সচেতন করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে লিডিং ইউনিভার্সিটিই প্রথম যেখানে স্রেডা অংশ নিয়েছে।’
তিনি নেট মিটারিং বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘এর মাধ্যমে যেমন জ্বালানির সাশ্রয় হবে তেমনি বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচও কমবে। লিডিং ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্রেডাতে যাতে ইন্টার্ন করার সুযোগ পায় তিনি এ ব্যবস্থা করবেন, এমনকি এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে কোনো গবেষণা প্রস্তাব এলে স্রেডা কর্তৃপক্ষ ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি ইইই বিভাগের বিভিন্ন ল্যাব ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের করা অনেকগুলো প্রজেক্ট দেখে প্রশংসা করেন। এ সময় নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্রগুলো তাকে বই আকারে উপহার দেওয়া হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে স্রেডা এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দ্রুতই এমওইউ (সমঝোতা চুক্তি) স্বাক্ষরিত হবে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও বেশি
করে স্রেডা পরিচালিত ট্রেনিং এ যোগ দিতে পারবে।
লিডিং ইউনিভার্সিটি স্রেডার সঙ্গে ভবিষ্যতে একসাথে কাজ করার আশা প্রকাশ করে সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘এনার্জি সেক্টরে অনেক দক্ষ জনবলের প্রয়োজন রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে পড়াশুনা করতে হবে। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। এনার্জি ইকোনোমিকস নিয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করে ক্যারিয়ার গড়তে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিয়ে টেকসই জ্বালানি এবং এর চ্যালেঞ্জ বিষয়ে সেমিনারে স্রেডা কর্তৃপক্ষের মূল্যবান এ অংশগ্রহণকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি এর আয়োজক লিডিং ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।