চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃগল্লামারী লিনিয়র পার্কে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সুমন ও মাসুমকে চর থাপ্পর মেরেছিলো মহিদুল ইসলাম (২৭)। সেই মারপিটের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন হয় যুবলীগ কর্মী মহিদুল। গতকাল বৃহস্পতিবার এ হত্যাকান্ডের এজাহারভুক্ত দু’জন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মহানগর হাকিম মোঃ শাহীদুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এরপর তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়া আসামিরা হলো সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন সাত্তার বিশ্বাস সড়কের (খোকন সাহেবের গলি) জলিল হোসেনের ছেলে সাগর (১৯) ও একই এলাকার মোঃ তুহিন শেখের ছেলে আশিক (১৯)।
মামলার এজাহারভুক্ত অপর প্রধান আসামি সোনাডাঙ্গা আল আকসা মসজিদ গলির কামরুল ইসলামের ছেলে সুমন (২২) ও সবুজবাগ মুক্তিযোদ্ধা গলির শহিদুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ মাসুম (২২) পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সোনাডাঙ্গাস্থ মজিদ সরণীতে সুজুকি শো-রুম আর এস মটরসে মহিদুল ইসলাম নিজের মোটরসাইকেলের মবিল পাল্টাতে আসে। পরে চা দোকানের সামনে সে খুন হয়। এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নিহতের ভাই মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন (নং-৩০)। সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল হক বলেন, এজাহারভুক্ত দু’জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।