চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃমানুষের অধিকার, স্বাধীনতা, এবং অস্তিত্বকে রক্ষার লড়াইয়ে জয়ী হতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির গুম-বিচারবর্হিভূত হত্যার শিকার নেতা-কর্মীদের ৪০টি পরিবারকে সহযোগিতা প্রদানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে গুম ও খুন হওয়া ঢাকা মহানগরের এসএম আদনান চৌধুরী, কাওসার হোসেন, ডা. সগীর, নজরুল ইসলাম, মো. মজিদ, ঢাকা জেলার ফয়সল উদ্দিন হাশেমী ও মানিকগঞ্জের মো. শাওন-এই সাত পরিবারের সদস্যের হাতে আর্থিক সহযোগিতার টাকা তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে তাই আমাদের মানুষের কাছেই যেতে হবে, তাদেরকে জাগিয়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের এখন যে লড়াই, এই লড়াই, এই সংগ্রাম হচ্ছে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনবার লড়াই, এই সংগ্রাম হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবার লড়াই, এই সংগ্রাম ও লড়াই হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বকে রক্ষা করবার লড়াই। এই লড়াইয়ে আমাদের হতাশ হলে চলবে না, এই লড়াইয়ে আমাদের পরাজিত হলে চলবে না। এই লড়াইয়ে আমাদেরকে জয়লাভ করতেই হবে।
নিসন্দেহে এই লড়াইয়ে আমরা জয়ী হবো। আমরা এটা বিশ্বাস করি। তা না হলে মানব জাতির ইতিহাস ভুল হয়ে যাবে। জোর করে কেউ টিকতে পারেনি।
তিনি বলেন, এনফোর্স ডিজএপিয়ারেন্স- এটা একটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। দিজ এ ক্রাইম এগেইনেস্ট হিউমিনেটি জাতিসংঘের চার্টারে সেটা আছে। অথচ সেটা এখানে (বাংলাদেশ) অবলীলায় ঘটে যাচ্ছে। যখন দেখি যে, সেনাপ্রধান আর আইজি প্রধান দুজনে পাশাপাশি বসে প্রেস কনফারেন্স করেন, মেজর সিনহার গুলির পরে- এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কার কাছে যাবো? কোথায় যাবো? কী বলব?
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ২০১৪ সালে গুম হওয়া এসএম আদনান চৌধুরীর বাবা রুহুল আমিন চৌধুরী ও কাওসার হোসেনের মেয়ে লামিয়া আক্তার, ২০০৯ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সাজেদা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।