বাগেরহাট প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের শরণখোলায় নদী ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের ভেড়িবাঁধসহ ১০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভাঙনে উপজেলার দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের আশার আলো মসজিদ কাম সাইক্লোন শেল্টারের সামনের প্রায় ৩শ’ মিটার ভেড়িবাঁধ ও ১০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে সেখানের পাঁচটি দোকান ও কয়েকশ’ গাছপালা নদীতে ভেসে গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভাঙনে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় অনেকেই তাদের ঘর, দোকানপাট, গাছ-পালা কেটে সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে আমনের বীজতলাসহ বাড়ি-ঘর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সাউথখালীর হাজার হাজার মানুষ। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিংকন বিশ্বাস গতকাল রবিবার দুপুরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সাউথখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলী খান বলেন, গত শনিবার সকালে আশার আলো মসজিদের সামনের ভেড়িবাঁধসহ প্রায় ৭ বিঘা জমি আমার চোখের সামনেই নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে আমার একটি দোকান ঘরও নদীতে ভেসে যায়। শুধু আমার নয় আরও কয়েক জনেরও দোকান ঘর নদীতে ভেসে গেছে। সাউথখালী গ্রামের সালাম শেখ বলেন, শুধু মাত্র একটি টেকসই ভেড়িবাঁধের অভাবে প্রায়ই ভাঙনের কবলে পড়তে হয়। নদীর পানিতে ভেসে যায় ঘর-বাড়িসহ মূল্যবান সম্পদ। এ নিয়ে গত দু’বছরে ৭ বার ভেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার মানুষ।
ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, ভেড়িবাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এখানে অতিদ্রুত বাঁধ নির্মাণ না হলে জোয়ারে এ ভাঙন থেকে পানি গড়িয়ে সাউথখালীর অন্তত ৮টি গ্রাম প্লাবিত হবে। আমন ধানের চাষ করতে পারবে না চাষিরা। এ অবস্থায় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের কাছে অতি দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, পরিকল্পনা ছাড়াই একের পর এক বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিআইপি প্রকল্পের লোকজন। যার ফলে ভেড়িবাঁধের বগী এলাকা বারবার ভাঙছে। এতে এলাকার মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়টি এখনই গুরুত্বের সাথে না দেখলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিংকন বিশ্বাস বলেন, ভাঙনের বিষয়টি বাঁধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে।