চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনগরীর শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল মসজিদে পাঁচ ওয়াক্তে প্রার্থনার সুবিধার্থে পকেট গেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন আশপাশের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, দোকান ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্যের নিকট দেড় শতাধিক মুসল্লির স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল খালিশপুরে যাত্রা শুরু বিশেষায়িত শহিদ শেখ আবু নাসের হাসপাতাল। সময়ের বিবর্তমানে ওই হাসপাতালের অবকাঠামো ও জনবলসহ নানা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন অসংখ্যা রোগী ও স্বজনদের আগমন ঘটছে। ফলে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোগী ও তাদের স্বজনদের নামাজ আদায়ের জন্য হাসপাতাল অভ্যন্তরে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করা হয়। সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের যাবতীয় সু-ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কিছু কিছু ওয়াক্তে মসজিদে মুসল্লি সংকট দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে ওই হাসপাতালকে কেন্দ্র করে আশাপাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের অফিস, শিক্ষা ও শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক এলাকা। এসব এলাকার মুসল্লি বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট মোড়ের ব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের তেমন কোন সুব্যবস্থা নেই। ফলে তাদের ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে। এ অবস্থায় মুসল্লি সংকট নিরসন ও আশপাশের মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুযোগ তৈরিতে মসজিদের সামনে একটি পকেট গেট নির্মাণের দাবি উঠেছে।
মুসল্লিরা জানান, হাসপাতাল মোড়ে শত শত মুসল্লি রয়েছে। তাদের প্রতি ওয়াক্তে নামাজ আদের জন্য অনেক পথ ঘুরে আসতে হয়। যার কারণে অনেক ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সময়ের স্বল্পতা ও অনেক পথ ঘুরে আসার কারণে মসজিদে যেতে চান না। ফলে তারা নামাজ আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু মসজিদের সামনে বা পাশে একটি পকেট গেট নির্মাণ করলে সকলে সময়মতো নামাজ আদায় করতে পারবে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা মনে হলে ইমাম-মোয়াজ্জিন বা নির্ধারিত ব্যক্তির নিকট গেট খোলা ও বন্ধের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।
তবে এ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, হাসপাতাল পরিচালনার জন্য কমিটি রয়েছে। ওই কমিটিই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে।