শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর উপ সহকারী (এস এ সিএমও) চিকিৎসক মশিউর ও রফিকুল ইসলামের কুট কৌশলে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাটির শত শত রোগী।দীর্ঘ বৎসর যাবৎ উর্দ্ধতনদের ম্যানেজ করেই নাভারন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়গণস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের অর্থ।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে তাদের অনিয়ম-দূর্নীতির খবর একাধিকবার প্রকাশ হলেও অজানা কারনে বছরের পর বছর ধরেই বহাল তবিয়তে থেকে অর্থ বানিজ্যের মহোৎসবে মেতেছে এ দুই কর্মকর্তা। বিভিন্ন ওষধ কোম্পানি ও ডায়গণস্টিক সেন্টারের সহিত সপ্তাহ চুক্তিতে পাঠাচ্ছে রোগী সাথে দিচ্ছে ঔষধপত্র। ঔষধ কোম্পানীদের খুশী করতে ঔষধপত্রে লিখছে অপ্রোজনীয় ঔষধ যা রোগীদের কাছে কষ্টকর হয়ে ওঠছে।
বর্হিবিভাগের এনসিডি কর্ণারে উপজেলার সাড়াতলা গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুমসহ একাধিক রোগী জানান, ডাক্তার মশিউর নাভারন হাসপাতালে চিকিৎসাপত্র না দিয়ে হাসপাতালের সামনেই ওনার নিজিস্ব চেম্বারে ৪০০টাকা ফি নিয়েছেন।
উপ সহকারী কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (সেকমো) মশিউর রহমান ও রফিকুলের সহিত যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে তাদের সাক্ষাৎ না মেলায় বক্তব্য জানা যায়নি।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মশিউর রহমানের পোস্টিং শার্শার নিজামপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও রফিকুল ইসলামের পোস্টিং গোগা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রে।
ঐ দুই যায়গায় ভবন না থাকায তারা নাভারন উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সেএ রোস্টার ডিউটি করেন। আর এ সুযোগে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয়ে বনছেন অর্থবিত্তের মালিক।