যশোরের শার্শায় মসজিদে লাইট জ্বালানো কে কেন্দ্র করে মসজিদের মুয়াজ্জিন শাহারুল ইসলাম (৪৫) কে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মুয়াজ্জিনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৮ টার সময় শার্শা উপজেলার গাজীর কায়বা গ্রামের উত্তর পাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শাহারুল ইসলাম শার্শার গাজীর কায়বা গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ও গাজীর কায়বা উত্তর পাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত।
অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে মেহেদী হাসান ও সাঈদী হাসান এবং চাচাতো ভাই সিরাজুল।
আহত মুয়াজ্জিন শাহারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার মাগরিবের নামাজ শেষে মুসুল্লিরা সবাই চলে গেলেও অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম মসজিদে লাইট, ফ্যান জ্বালিয়ে বসে ছিলো। এসময় মুয়াজ্জিন লাইট জ্বালাতে নিষেধ করে। এতে দু’জনার ভিতর এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরবর্তিতে আনোয়ারুল ও তার ছেলে ভাই এবং চাচাতো ভাইয়ের নেতৃত্বে ৬/৭ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে মারতে থাকে। আমার ছেলে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান ঠেকাতে গেলে তাকেও বেদম মারপিঠ করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আকিকুল ইসলাম জানান, মসজিদের মুয়াজ্জিনকে মারার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।