শার্শার বাগআঁচড়ায় ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করতে না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক ও তার সমর্থকেরা।
বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেককে দিবসটি পালনে বাঁধা সৃষ্টি করায় তিনি দলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঝামেলা থেকে সরে এসেছেন বলে লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
এসময় যশোর জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক নবী নওয়াজ মোঃ মুজিবুদ্দৌলা সরদার কনক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৪৭ তম জাতীয় শোক দিবস পালনের লক্ষ্যে বাগআঁচড়া ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পাইবার জন্য গত ১১ আগষ্ট একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে অনুমতি গ্রহণ করেন উপজেলা বির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে।
ইতিমধ্যে বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সার্বিক কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হয়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুলও গত ১৩ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একই মাঠে একই সময় ১৫ আগষ্ট পালন করার জন্য আবেদন করেন। উক্ত আবেদন পত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষর না করলেও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবীর বকুল স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পত্র প্রকাশ করে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল চেষ্টা করেন বলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হতে পারে এবং উক্ত ঝামেলায় ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পন্ড হতে পারে এই ভেবে ১৪ আগষ্ট বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ বিনিময় শেষে শার্শা বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে এবং দলের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ১৫ আগষ্ট পালন করার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এমন এহেন কর্মকান্ডের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান নেতাকর্মীরা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, বাগাআঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ধাবক, সাবেক সভাপতি শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগ সরদার শাহারীয়ার আলম বাদল, শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ বাবলু মিয়া, সাবেক নাভারণ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফেরদৌস চৌধুরী রাজু, শার্শা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতা কাজী মালেকুজ্জামান সুজন, বিল্লাল খাঁ, মহিউদ্দিন তোতা, আলী কদর, ডায়মন্ড মড়ল, সম্রাট, মফিজুর রহমান, শাহীন, সজন, নাজমুলসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।