বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেম ওয়ার্ক (বিএনকিউএফ) এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি) এর গাইডলাইন অনুসরণ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে আন্ডার গ্রাজুয়েট ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য কোর্স কারিকুলা প্রণীত হচ্ছে। ডিসিপ্লিনসমূহের মধ্যে এবার আন্ডার গ্রাজুয়েট ও মাস্টার্সের আউটকাম বেজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলা তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে ইংরেজি ডিসিপ্লিন। এই ডিসিপ্লিনের তৈরিকৃত এ কারিকুলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আজ ১৪ আগস্ট (রবিবার) বেলা ১১টায় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের স্মার্ট ক্লাসরুমে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওবিই কারিকুলা প্রণয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ইংরেজি ডিসিপ্লিনের ওবিই কারিকুলা প্রণয়নের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ১৫টি ডিসিপ্লিনের কারিকুলা চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। আশাকরি চলতি মাসের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বাকি ১৪টি ডিসিপ্লিনের ওবিই কারিকুলা সম্পন্নের মাধ্যমে আমরা এ লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতোমধ্যে অনেক ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ইংরেজি ডিসিপ্লিনের কারিকুলার বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা যুগোপযোগী ও সমৃদ্ধ হয়েছে এবং এই সেমিনারের মাধ্যমে খুঁটিনাটি দিকে আলোকপাতের মাধ্যমে তা আরও উৎকর্ষ লাভ করবে। কয়েকটি ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ দিয়ে উপাচার্য বলেন, কারিকুলায় আমরা বৈশ্বিক, আঞ্চলিক, দেশীয় বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে কোর্স নির্বাচন করবো ঠিকই, কিন্তু কম করে হলেও কিছু কোর্সে আঞ্চলিক ইতিহাস, ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সুন্দরবন ও এই উপকূলীয় অঞ্চলের উপর বিভিন্ন ধরনের লোক-সাহিত্য, লোকজ সংস্কৃতি রয়েছে। যা শিক্ষা ও গবেষণার উপাদান হিসেবে কাজ করবে। এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত হলে শিক্ষার্থীরা যেমনি জানতে পারবে, তেমনি গবেষণার সুযোগ অবারিত পাবে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওবিই কারিকুলা চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত করায় তিনি তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এই কারিকুলা প্রণয়নকাজে মতামত ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতার জন্য বিশেষজ্ঞ সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। তিনি বলেন, উপাচার্যের একান্ত আগ্রহ ও নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওবিই কারিকুলা প্রণয়নের মতো এক কর্মযজ্ঞ অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে। শিক্ষকবৃন্দ আন্তরিকতার সাথে এটা নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা সবাই যে বিশ্বমানের করতে চাই- এ আগ্রহ ও প্রচেষ্টা থেকে তা বোঝা যায়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. রুবেল আনছার এবং আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। সভাপতিত্ব করেন ইংরেজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর এ আর এম মোস্তাফিজার রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান কবির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক রুমানা রহমান।
এসময় বহিঃস্থ বিশেষজ্ঞ সদস্য মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. আনিসুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।