স্কুল-কলেজে নতুন করে আর ছুটি বাড়ানো হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি করোনার সংক্রমণের হার কমছে। এটা ভালো খবর। আমরা আশা করছি, এই হার আরও কমবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন আর যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য শ্রেণিকক্ষে যে পাঠদান বন্ধ আছে আশা করছি সেটা আর বাড়াতে হবে না।
ডা. দীপু মনি বলেন, করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে রবিবার আমাদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেটি আরও দুই দিন পরে হবে। সেখানে আমরা সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করব।
তিনি বলেন, আমরা কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে আগেও বিজ্ঞান সম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সামনেও নেব।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশা করছি, সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে এবং খুব শিগগিরই স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের তরুণেরা যাতে বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে অবগত থাকে। তাদের সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট হবে। নিজেদের এবং পরের প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণে কি পদক্ষেপ নিতে হবে, সেগুলো তারা শিখবে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হলে ১৬ই মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দীর্ঘ আঠার মাস বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে সশরীরে শ্রেণি পাঠদান শুরু হয় গত বছরের ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে। কিন্তু হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর গত ২২শে জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক ও ২৩শে জানুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণি পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আবার ২১শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
দুই দফায় এক মাস বন্ধের পর করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আরেক দফা ছুটি না বাড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণি পাঠদান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদিও সংক্রমণ পরিস্থিতি অনুযায়ী পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও সরাসরি শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রেখেছে।