কেসিসি’র পঞ্চম দফা নির্বাচনে জাপার মেয়র প্রার্থী মুসফিকুর রহমানসহ ছয়জন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ান জারি হয়েছে। তারা জাপার নগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার আসামি। মুসফিকুর রহমান গত ২৬ বছর যাবত আদালতের রেকর্ডে পলাতক আসামি হিসেবে চিহ্নিত। আগামী ৩ মার্চ চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন।
গত ২৬ জানুয়ারি ধার্য দিনে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারি অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে চার জন স্বাক্ষী অনুপস্থিত ছিল। মামলার অন্যতম আসামি খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস ছাড়া অন্য সকল আসামি অনুপস্থিত ছিল। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ সাইফুজ্জামান হিরো পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামিরা হচ্ছে ২০১৮ সালের ১৫ মে কেসিসির পঞ্চম দফা নির্বাচনে জাপা মনোনীত মেয়র প্রার্থী মুসফিকুর রহমান, তার ভাই ওয়াসিকুর রহমান, তরিকুল হুদা টপি, আনিসুর রহমান মিল্টন, মফিজুর রহমান ও মোঃ তারেক।
কেসিসির নির্বাচনের পর মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগে দলের মেয়র প্রার্থী মুসফিকুর রহমানকে জাপা প্রধান দল থেকে বহিস্কার করেন। জাপা প্রধানের মৃত্যুর পর মুসফিকের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। গত তিন বছরে কয়েক দফা মুসফিকুর রহমান খুলনা সফর ও জাপার স্থানীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন। গত ২৬ বছরে জাপা নেতা হত্যা মামলার আসামি হয়েও আদালতে হাজিরা দেয়নি মুসফিক। মুসফিককে জাপার মেয়র প্রার্থী করায় পশ্চিম বানিয়াখামারের হাজি বাড়ির দলের অনুসারিদের একাংশ রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয় জাপায় বিভক্তির সৃষ্টি হয়।
আদালত এ মামলার স্বাক্ষী মনিরুজ্জামান এলুর আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত একই সাথে চার স্বাক্ষীকে হাজির হতে সমন দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল স্যার ইকবাল রোডস্থ বেসিক ব্যাংকের সামনে জাপা নেতা আবুল কাশেম ও তার ড্রাইভার মিকাঈল হোসেন খুন হন। মামলাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্ট্রে হয়। ২০১৮ সালের ২ আগস্ট স্ট্রে আদেশ প্রত্যাহার করে। উচ্চ আদালতের আদেশ খুলনায় এসে পৌছায় গত ৩ জানুয়ারি।