সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক (নিম্ন) আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের জামিন আবেদনের বিষয়ে আদেশ আজ।
রবিবার (৩০ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে তাদের করা জামিন আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ২৪ মে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় বিচারিক (নিম্ন) আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ১৮ জনের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার (২৫ মে) হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ সাতজনের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। বাকিদের জামিনের বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য ৩০ মে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
২৪ মে তাদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ করা হয়। ওই দিন জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট গাজী মহসীন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শাহীন মৃধা।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
২০০২ সালে কলারোয়ার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ওই বছরের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছলে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
সে সময় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও এ ঘটনায় আহত হন।
ঘটনার পরে ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।