আগামী ২৭ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব ইস্যুতে আলোচনা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। মোদির ঢাকা সফরে ভারতের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি মূলত মুজিববর্ষ উদযাপন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের যৌথ উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই সফর করছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে বর্ডার কিলিং, পানি এবং বাণিজ্য। এসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সচিব পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের সাথে আমাদের প্রতিদিন আলোচনা চলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে সেগুলো মোটামুটি ঠিক হয়েছে। চুক্তিগুলো প্রয়োগে যাতে অসুবিধা না হয় এবং বলবৎ থাকে প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়গুলো মোদির কাছে তুলে ধরবেন। এ ছাড়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে দুই দেশের সরকার এখনও আশাবাদী। উভয় প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে নিজ নিজ দেশের পক্ষে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে পৃথক দুইটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সফরের প্রথম দিন অর্থাৎ ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করবেন। একই দিন বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখবেন। সেদিনই সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু’ ডিজিটাল প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন।’’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সফরের দ্বিতীয় দিন, ২৭ মার্চ সকালে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এছাড়া, এদিন তিনি সাতক্ষীরা এবং গোপালগঞ্জে দুইটি মন্দির পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মতবিনিময় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা সফরের কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।