ফকিরহাট প্রতিনিধি :: ফকিরহাটে শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে যথাযােগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ এবং কলেজের অধ্যক্ষ বটু গোপাল দাস প্রতিষ্ঠানের শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। অতঃপর অত্র এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শুভদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুকুল ইসলাম, ভান্ডারকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানশেখ ওবায়দুল্লাহ, আলহাজ্ব শেক সিদ্দিক আলী, তারিকা বেগম সহ সহস্রাধীক মানুষ।
ভাের ৭ টায় অধ্যক্ষ মহোদয়ের নেতৃত্বে প্রভাতফেরির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা খুব ভােরে কলেজে এসে হাজির হন। সকলের উপস্থিতি শেষে নগ্ন পায়ে প্রভাতফেরি শুরু হয়। এ সময় সবার বুকে কালাে ব্যাজ শােভা পায় এবং পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশে যাত্রাকালে সকলের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’
শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মােনাজাত করা হয়।
সকাল ৯ ঘটিকায় স্বপন দাশ অডিটোরিয়ামে অধ্যক্ষ বটু গোপাল দাসের সভাপতিত্বে প্রভাষক মো: সাইদুর রহমানের উপস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক শেখ তারিকুল ইসলাম। এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় কুমার দাস, সিরাজুল ইসলাম মল্লিক, উৎপল কুমার দাস, সালমা খাতুন, প্রভাষক শেখ শামীম ইসলামসহ প্রমুখ। আলোচনা সভায় সকল বক্তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ, মানবাধিকার ও মুক্তিসহ প্রভৃতি মূল্যবোধের উন্নয়নে ভাষা শহিদদের অবদানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিকে আমরা কেবল ভাষার অধিকার রক্ষার লড়াই ভাবলে ভুল করব। একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ হলো অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলাের চিরন্তন সংগ্রামের স্মারক। তিনি আরও বলেন, ভাষা শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। এই দিনে আমাদের সব রকম অন্যায়, অত্যাচার শোষণ ও নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে মাথা উচু করে দাঁড়ানাের শপথ নিতে হবে।