সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বৃহস্পতিবার , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না সেই শিশুকে | চ্যানেল খুলনা

শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না সেই শিশুকে

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবাঁচানো যায়নি শিশু জান্নাতুলকে। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টার পরও মৃত্যুর কাছে হার মানতে হলো শিশুটিকে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ বাড়িতে শিশুটি মারা যায়। শিশুটি মারা যাওয়ার খবরে তাকে এক নজর দেখতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামে শতশত মানুষের ঢল নামে।

এর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রাজশাহী যাওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা না থাকায় শিশুটিকে বাড়িতে নেওয়া হয়। অর্থ জোগাড় করার প্রস্তুতির এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে মায়ের কোলেই নিথর হয়ে পড়ে শিশু জান্নাতুল।

শিশু জান্নাতুলের মৃত্যুর পর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম জুড়ে। অনেকে শিশুটির মৃত্যুর জন্য বেসরকারি ক্লিনিক উপশম নার্সিং হোমের চিকিৎসক ও আয়াদের অবহেলাকে দায়ী করে তাদের শাস্তির দাবি তোলেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের মুদি দোকানি আবদুল হালিমের স্ত্রী জিনিয়া খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের সদস্যরা রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে তাকে শহরের উপশম নার্সিং হোমে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে জিনিয়া নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। পরিবারের সদস্যরা শিশুটির নাম দেন জান্নাতুল। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ক্লিনিকের নার্স ও আয়াদের পক্ষ থেকে জানানো হয় মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেছে প্রসূতি জিনিয়া। এরপর মৃত ভেবেই তাকে ফেলে রাখা হয় ক্লিনিকের একটি রুমের মেঝেতে।

এমন অভিযোগ এনে শিশুটির বাবা আব্দুল হালিম জানান, মৃত কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবরে আমরা যখন দাফন কাফনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি। তখনই আমার স্ত্রী (জিনিয়া) তার কন্যাকে শেষ বারের মতো দেখতে চায়। কিন্তু ক্লিনিকটির আয়ারা শিশুটির গলা চেপে উঁচু করে আমাদের বলেন, এই দেখেন মৃত বাচ্চা। তারপরও আমার স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কোলে নিতেই নড়ে ওঠে আমার সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যা। এ সময় আমরা চিৎকার দিয়ে উঠলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে শিশুকে অক্সিজেন দেন। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে জান্নাতুলকে গোপনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন।’ তাদের কথা মতো সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে আমরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।

এ দিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডের উপশম নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনেকে শিশুটিকে দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভিড় জমান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, ‘নির্ধারিত সময়ের আগেই শিশুটি জন্ম নিয়েছে। তাছাড়া নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত ছিল শিশুটি। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে ইনকিউবেটরের মধ্যে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু কিছুতেই শিশুটির উন্নতি না হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানোর পরামর্শ দিই। দুপুরে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন।

শিশু জান্নাতুলের বড় চাচা বরকত আলী জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করলেও আমাদের হাতে রাজশাহী যাওয়ার মতো কোনো টাকা পয়সা ছিল না। এজন্য আমরা দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে শিশুকে বাড়িতে নিয়ে আসি। এরপর টাকা জোগাড় করার প্রস্তুতি নিতে থাকি। কিন্তু এরই এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে মায়ের কোলেই নিথর হয়ে পড়ে শিশু জান্নাতুল।

শিশুটির মৃত্যুর খবরে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় শিশুর মা জিনিয়া খাতুন প্রলাপ করছেন। তিনি তার শিশু কন্যার মৃত্যুর জন্য উপশম নার্সিং হোমের চিকিৎসক ডা. জিন্নাতুল আরা, ক্লিনিকটির নার্স ও আয়াদের অবহেলাকে দায়ী করেন। অভিযোগ আনেন জীবিত থাকা অবস্থায় আমার সন্তানকে মৃত ঘোষণা দিয়ে তাকে তীব্র ঠান্ডার মধ্যে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। আমি শেষ বারের মতো দেখতে না চাইলে জীবিত অবস্থায় হয়ত…!

এ ব্যাপারে ডা. জিন্নাতুল আরা বলেন, ‘শিশুটি যখন ভূমিষ্ঠ হয় একেবারেই শ্বাস-প্রশ্বাস ছিল না। নাভির কাছে কেবল ঢিবঢিব শব্দ ছিল। চার ঘণ্টা অক্সিজেন দেওয়ার পর সে কিছুটা সুস্থ হলে আমরা সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন শিশুটিকে চিকিৎসা দিতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।

https://channelkhulna.tv/

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

‘দেশের মানুষের দারিদ্রের হার ১৮.৭০ শতাংশে নেমে এসেছে’

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন, মায়ের কারাদণ্ড

যুবককে কুপিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই, ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় রেস্তোরাঁয় ঢুকে ৩ জনকে ছুরিকাঘাত

জার্মানি সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার

ঢাকার উদ্দেশে মিউনিখ ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
উপদেষ্টা সম্পাদক: এস এম নুর হাসান জনি
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: শেখ মশিউর রহমান
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
ঢাকা অফিসঃ ৬৬৪/এ, খিলগাও, ঢাকা-১২১৯।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য আবেদিত।