জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট। এ দিনটি বাঙালির জীবনে শোক দিবস। জাতীয় শোক দিবস পালনে এবারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শোক দিবস পালনের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পাশাপাশি, শোক দিবস পালনে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দুই হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের এ নির্দেশনা পাঠিয়ে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনে এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, আগামী ১৫ আগস্ট সব সরকারি-বেসরকারি আধাসরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ভার্চুয়াল মাধ্যম ব্যবহার করে এদিন সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, কলেজ, মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শোক দিবসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হাম নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করবে।
এছাড়া সংসদ টেলিভিশনে শিক্ষার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক ২৬টি বই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংগ্রহ ও পাঠের ব্যবস্থা করা হবে এগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও প্রতিযোগিতায় কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে। শোক দিবস পালনে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় পোস্টার বিতরণ করা হবে। এছাড়া এদিন বাদ জোহর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হবে।