খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের পাওনা শতভাগ পরিশোধ করেই সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে মিলগুলো চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ২০১৪ সাল থেকে অবসরে যাওয়া এবং বর্তমানে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা এককালীন পরিশোধের সারসংক্ষেপে অনুমোদন দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, শ্রমিকদের পাওনা টাকায় যাতে কোন মধ্যস্বত্ত্বভোগী ভাগ বসাতে না পারে সেজন্য সরকারি কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে তাঁদের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। এছাড়া পিপিপি’র ভিত্তিতে মিলগুলোর চালু হলে এখানকার দক্ষ শ্রমিকের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
জেলা প্রশাসক আজ (বুধবার) দুপুরে তাঁর সম্মেলনকক্ষে পাটকল শ্রমিকদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ১০ দফা দাবি পেশ করেন। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো; শ্রমিকদের পাওনা শতভাগ এককালীন দিতে হবে, পিপিপি’র মাধ্যমে মিল চালু হলে তাঁদের যেন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হয়। যে সমস্ত শ্রমিক কলোনিতে বসবাস করছে তাঁদের যেন সেখানেই বসবাসের সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া মিল বন্ধের নোটিশ পরবর্তী শ্রম আইন অনুসারে দুই মাসের বেতন এবং ঈদ-উল-আযহার বোনাস পাওয়ার জন্য শ্রমিকরা দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে খুলনার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগসহ পাটকল শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।