পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এখনো চেয়ারে বসে আছে। তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাধা দিতে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ওই সকল দোসরদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে চেয়ার থেকে সরাতে হবে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিগত ১৬ বছরে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। বহু নেতা নির্বাসিত হয়েছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে জনগণ মুক্তি পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। দুষ্কৃতকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যাসহ গুরুতর আহত করা হচ্ছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর বয়রা বাজারে ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মনা বলেন, প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের যত প্রেতাত্মা আছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশব্যাপী খুন-খারাবীতে মেতে উঠেছে। সমাবেশে প্রধানবক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
বিএনপি নেতা তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মোস্তফা কামালের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ সাদী, একরামুল হক হেলাল, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, জামাল উদ্দিন, মিজানুর রহমান মিলটন, মুজিবার রহমান, আক্কাস আলী, ফারুক হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফি, সাঈদ হাসান লাবলু, তাজিম বিশ্বাস, শফিকুল ইসলাম শাহিন, সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম, হেমায়েত মল্লিক, অনুপ কুমার বৈরাগী, নজরুল ইসলাম, মোল্লা তাজ উদ্দিন,আব্দুল হক, শামীম আহসান, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান বিপুল, ইসলাম বিশ্বাস, রুবেল বিশ্বাস, মফিজুর রহমান, বদরুল আলম রয়েল, মুন্নী জামান, হাসনা হেনা প্রমূখ।